সোমবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৮ পূর্বাহ্ন
ফিরোজ কবির(নিজস্ব)প্রতিবেদকঃ আশুলিয়ায় সাইফুল ইসলাম শিকদার নামের এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার বিরুদ্ধে ইয়াবা সেবন ও তার ছত্রছায়ায় মাদক ব্যবসার অভিযোগ উঠেছে। তার মাদক সেবনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এছাড়া সড়কে অবৈধভাবে দোকান বসিয়ে প্রতি মাসে চাঁদা আদায়সহ ময়লা ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে মাসোহারা আদায় করেন ওই নেতা।
অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম শিকদার আশুলিয়া থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। সম্প্রতি ইয়াবা সেবনের একটি ভিডিও এ প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। ভিডিওতে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতাকে ইয়াবাসেবনে মগ্ন থাকতে দেখা গেছে। সম্প্রতি ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আশুলিয়ার ভাদাইলের কাঁঠালতলা এলাকার বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম শিকদার দেড় বছর আগে আশুলিয়া থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে আসীন হন। এরপর থেকেই তিনি বেপরোয়া হয়ে উঠেন। নিজ এলাকায় কাঁঠালতলা মোড়ে স্থানীয় সড়কের উপর দোকান বসিয়ে প্রতিমাসে মোটা অঙ্কের চাঁদা আদায় করেন। এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীরাও তার ছত্রছায়ায় মাদক ব্যবসা পরিচালনা করছে। এমনকি তার হাত থেকে বাদ যায়নি ওই এলাকার ময়লা পরিচ্ছন্নকর্মীও। বিভিন্ন বাসার ময়লা সরিয়ে ফেলার ব্যবসা পরিচালনার জন্যেও ওই নেতাকে চাঁদা দিতে হয় বলে জানা গেছে।
ধামসোনা ইউনিয়নের নূর আলম নামে এক ময়লা পরিচ্ছন্নকর্মীও অভিযোগ করে বলেন, স্বেচ্ছেসেবক লীগ নেতা সাইফুল ইসলাম শিকদারকে প্রতিমাসে ১৫ হাজার টাকা চাঁদা দিয়ে ব্যবসা করতে হয়। এছাড়াও ওই নেতাকে এককালীন ৬৯ হাজার টাকা দিতে হয়েছে। প্রতিমাসে মাসোহারা না দিলে তাকে এই এলাকার ময়লা নিতে দিবে না বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতা অভিযোগ করে বলেন, কিছু লোকজন সংগঠনের পদ পাওয়ার পর থেকেই অবৈধভাবে অর্থ উপার্জনের জন্য মরিয়া হয়ে উঠে। দলকে সুসংগঠিত করার জন্য কখনোই তারা ভাবে না। এসব লোকজনের জন্যই দলের বদনাম হয় বলেও তিনি জানান।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, আমাদের দেশে ইয়াবার করাল গ্রাসে যুব সমাজের অনেকেই ধ্বংসের পথে। এসব যুবকদের মাদক সংশ্লিষ্টতা থেকে ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের কাজ করার কথা। অথচ নেতাকর্মীদেরই ইয়াবা সেবনের বিষয়টি দু:খজনক।
দৈনিকবিডিনিউজ৩৬০/এসএস