মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৫০ অপরাহ্ন
রাঙ্গামাটির পাহাড়ে বাউকুল ফলের চাষ।ছবি-সংগৃহীত
দৈনিকবিডিনিউজ৩৬০ ডেস্ক : দিন দিন পাহাড়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বাউকুল চাষ। রাঙ্গামাটির উঁচু জমিতে ব্যাপক ভাবে উৎপাদিত হয়েছে বাউকুল ফল। ফলে একদিকে যেমন অনাবাদি জমি ব্যবহার বেড়েছে, সেই সঙ্গে এ এলাকার অসচ্ছল পরিবারগুলো অর্থনৈতিকভাবে হয়ে উঠেছে স্বাবলম্বী। তবে ইতোমধ্যে প্রায় সবগুলো গাছের ফল বিক্রিও শেষ করেছেন উৎপাদকরা।
সরেজমিনে রাঙ্গামাটির বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় বাউকুল চাষের নজরকাড়া দৃশ্য।
রাঙ্গামাটির সাপছড়ির শুকরছড়ির বোধিপূর গ্রামে দেখা যায়, এখানকার বন বিহারের দুই একর অনাবাদী জমিতে চার বছর আগে বাউকুলের এ বাগান গড়ে তোলে একটি বেসরকারি সংস্থা। পাহাড়ের সবকটি গাছেই ফলন এসেছে। বড় আকারের এ বাউকুল’র একেকটির ওজন ৩০ থেকে ৫০ গ্রাম। স্বাদেও বেশ মিষ্টি। এ বছর এ এলাকায় বাউকুলের ফলন যেমন বেশি হয়েছে, তেমনি ভালো দামও পাওয়া যাচ্ছে বলে জানান উদ্যোক্তারা।
শুক্কুরছড়ির পাহাড়ের উঁচু নিচু আবাদি জমিতে গিয়ে দেখা যায়, এখানেও প্রচুর পরিমাণে বাউকুল উৎপাদন হয়েছে। ফলের ভারে নুয়ে পড়া গাছগুলোকে বাঁশের সাহায্যে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। ৫ থেকে ১০ ফুট উঁচু প্রতিটি গাছে ঝুলছে পরিপুষ্ট বাউকুল। কোনোটি সবুজ আবার কোনোটিতে হালকা বাদামী রং ধরেছে। ফলের ভারে কোনো কোনো ডাল বাউকুলসহ মাটির উপরেই লতার মতো পড়ে আছে। আর বাগানে বাদুর ও অন্যান্য পাখিদের হাত থেকে রক্ষা করতে জাল দিয়ে ঢেকে দেয়া হয় পুরো বাউকুল বাগান।
উদ্যোক্তারা বললেন, সরকারের আরো সহায়তা পেলে অনাবাদী পাহাড় গুলোতে আরও প্রচুর পরিমাণে বাউকুল উৎপাদক করা সম্ভব হবে। এর মধ্য দিয়ে রাঙ্গামাটির পাহাড়গুলো ফলের পাহাড়ে পরিণত করা সম্ভব হবে। সরকারি ভাবে এমন উদ্যোক নেওয়া হলে দেশীয় চাহিদা মেটানোর সঙ্গে সঙ্গে রফতানি করে প্রচুর বৈদেশক মুদ্রাও আয় করা সম্ভব। পাহাড়ের অনাবাদী জমিতে কুল চাষে বেকারত্বের হার কমাতে সাহায্য করবে।
রাঙ্গামাটি উপ-সহকারী কৃষি অফিসার শান্তি চাকমা জানালেন, পাহাড়ের উচু জমি কুল চাষের উপযোগী হওয়ায় পরিকল্পিতভাবেই আধুনিক পদ্ধতিতে এ ফলের উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব হবে। এছাড়া পুরোপুরি নিজস্ব প্রযুক্তির ব্যবহার করে সঠিক পরিচর্যার কারণেই জেলায় এবার বাম্পার ফলন হয়েছে বাউকুলের।
রাঙ্গামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক পবন কুমার চাকমা জানান, এবছর আবহাওয়া ভালো থাকায় বাউকুলের ফলন ভালো হয়েছে। রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলায় ৭৮৫ হেক্টর জমিতে এই বাউকুল চাষ করা হয়েছে।
এসএস