বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:২২ পূর্বাহ্ন
দৈনিকবিডিনিউজ৩৬০ ডেস্ক : রংপুরের বাজারে চাল ও ভোজ্যতেলের বাড়তি দাম ভোগাচ্ছে ভোক্তাদের। প্রায় একমাস ধরে প্রতি সপ্তাহে ভোজ্যতেল ও চালের দাম বেড়েই চলেছে। সমস্যায় পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষরা। প্রতি কেজিতে প্রায় সবধরনের চালের দাম বেড়েছে ৩-৫ টাকা।
শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) রংপুরের মাহিগঞ্জ বাজার, সিটি বাজার, কামালকাছনা বাজার ও টার্মিনাল বাজার ঘুরে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে এ সব তথ্য পাওয়া গেছে।
মাহিগঞ্জ ও সিটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে নতুন চাল স্বর্ণা প্রতি বস্তা (৫০ কেজি) বেচা হচ্ছে ২২৫০-২৩০০ টাকায়। আর খুচরা বাজারে তা বেচা হচ্ছে ৪৮-৫০ টাকা কেজি দরে। আঠাশ প্রতি বস্তা বেচা হচ্ছে ২৬০০-২৬৫০ টাকায়। আর খুচরা বাজারে বেচা হচ্ছে ৫৪-৫৫ টাকা কেজি দরে।
এছাড়াও মিনিকেট, নাজিরশাইলসহ সবধরনের চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ৩-৫ টাকা পর্যন্ত।
রংপুর সিটি বাজারের চাল ব্যবসায়ী লাকী ইসলাম জানান, প্রায় একমাস থেকে প্রতি বস্তায় ১৫০-২০০ টাকা দাম বেড়েছে মোকামগুলোতে। মোকামে দাম বাড়ায় তারা বাড়তি দামে বেচছেন। শীত মৌসুমের আগে চালের দাম কমার কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানান তিনি।
এদিকে চালের সঙ্গে বেড়েছে ভোজ্যতেলের দামও। প্রায় একমাস ধরে প্রতি কেজিতে ১০-১৫ টাকা বাড়তি দামে বেচা হচ্ছে সবধরনের ভোজ্যতেল।
খোলা সয়াবিন প্রতি কেজি বেচা হচ্ছে ১১৫-১১৮ টাকা, যা গত মাসেও বেচা হয়েছে ১০২-১০৫ টাকা কেজি দরে। বোতলজাত তেলেও দাম প্রতি লিটারে বৃদ্ধি পেয়েছে ৮-১০ টাকা।
মুদি ব্যবসায়ী কাদের মোল্লা জানান, পাইকারি বাজারে দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। প্রায় সবধরনের ভোজ্য তেলের দাম বেড়েছে প্রতি লিটারে ৮-১০ টাকা।
বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে আসা নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়। গত সপ্তাহে বাজারে মুড়িকাটা পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৪২-৪৫ টাকায়। আর আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬০-৬৫ টাকায়।
শনিবার মুড়িকাটা পেঁয়াজ ৪০-৪২ টাকা, দেশি পুরাতন ৫০-৫৫ টাকা এবং আমদানি করা পেঁয়াজ ৫৫-৬০ টাকা কেজি দরে বেচা হচ্ছে।
সিটি বাজারের ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম বলেন, বাজারে নতুন আলুর সরবরাহ বাড়ায় দাম সহনীয় পর্যায়ে এসেছে। আগামী সপ্তাহে দাম আরো কমবে।