মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:০৭ অপরাহ্ন
দৈনিকবিডিনিউজ৩৬০ ডেস্ক : প্রাইভেট হাসপাতাল বা বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলোতে এখনই করোনার টিকা দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুল মান্নান। করোনার টিকা শুধু সরকারি হাসপাতালে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, ‘প্রাইভেট হাসপাতালে করোনাভাইরাসের টিকা নিয়ে যদি কারও মৃত্যু হয়, সে দায় সেই হাসপাতালের। সরকার সে দায় নেবে না।’
আজ বুধবার (২০ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ভ্যাকসিন বিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক জুয়েনা আজিজ ও আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম উপস্থিত ছিলেন।
স্বাস্থ্য সচিব বলেন, ‘ভ্যাকসিন প্রয়োগের বিষয়ে বেসরকারিভাবে অনেকে আমাদের কাছে আবেদন করেছে। এগুলো যাচাই-বাছাই আমরা করছি। এক্ষেত্রে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর, স্বাস্থ্য অধিদফতরের আলাদা দল কাজ করছে। এখনও আমরা অনুমোদন দেইনি। তারা যদি সব শর্ত পূরণ করে ভ্যাকসিন দিতে চায়, তবে আমরা অনুমতি দেবো। এই শর্তগুলোর মধ্যে আছে, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলে তার কী দায়িত্ব, যদি কেউ মৃত্যুবরণ করে তবে তার কী দায়িত্ব। এগুলো কিন্তু তৈরি করেছি আমরা।’
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রায় ২০টি শর্ত জুড়ে দিয়েছি। ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর; স্বাস্থ্য অধিদফতর; রোগ তত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) বিষয়গুলো দেখছে। অনেকগুলো বিষয় বিবেচনা করে দেখছি যে তাদের অনুমতি দেব কিনা, তাদের সেই অ্যাকোমোডেশন আছে কিনা, তাদের সেই স্কোপ আছে কিনা।’
আব্দুল মান্নান বলেন, ‘করোনা ভ্যাকসিন সংক্রান্ত অ্যাপ একটাই। নয়তো সেন্ট্রাল ডাটা পাওয়া যাবে না। প্রাইভেট হাসপাতালে আলাদা, সরকারি হাসপাতালে আলাদা, এটা করলে হবে না। একটা সেন্ট্রাল ডাটাবেজ থাকতে হবে। সেখান থেকে সব তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যাবে। আর টিকা দেওয়ার বিষয়ে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হবে। এজন্য সুরক্ষা নামের একটি অ্যাপ করা হয়েছে, যাতে সঠিকভাবে মানুষকে চিহ্নিত করে টিকা দেওয়া যায়।’
পরে অ্যাপ তৈরির সঙ্গে যুক্ত এক সদস্য বলেন, ‘আমরা এই অ্যাপ অত্যন্ত স্বল্প সময়ের মধ্যে তৈরি করেছি। গত ২০ ডিসেম্বর এ বিষয়ে একটি মিটিং হয়ে খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে এই অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে। এখানে বিভিন্ন ধরনের রিকমেন্ডেশন এখনও আসছে। আমরা টিকা কর্মসূচি শুরু হওয়ার আগেই চেষ্টা করবো সবকিছু দ্রুত সম্পন্ন করতে।’
সচিব আরও জানা, দেশের অন্তত ৮ থেকে ৯ কোটি মানুষকে যেন টিকা দেওয়া যায়, সেই প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। এতে দেশে হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হবে।
এসএস