মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৬:৫৬ অপরাহ্ন
দৈনিকবিডিনিউজ৩৬০ ডেস্ক : ফেসবুক হ্যাক, ছবি টেম্পারিং করে ব্লাকমেইল, অন্যের ছবি দিয়ে ভুয়া ফেসবুক একাউন্ট কিংবা অনলাইনে যেকোনো ধরনের প্রতারণার মতো ঘটনাগুলোর ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীরা কোথায় অভিযোগ করবেন এ নিয়ে পড়েন দ্বিধাদ্বন্দ্বে। আর এ সমস্যার সমাধানে দেশে চালু হচ্ছে সাইবার থানা। যেখানে সরাসরি বা অনলাইনে সাইবার ক্রাইম সংক্রান্ত যেকোনো ধরনের অপরাধের জন্য অভিযোগ করা যাবে।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অধীনে হচ্ছে এই থানা। যদিও থানা তৈরির কার্যক্রম শুরু হতে বেশ কিছুটা সময় লাগবে। তবে প্রাথমিকভাবে স্বল্প পরিসরে শিগগিরিই এর কার্যক্রম শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সিআইডি’র সাইবার ক্রাইম সেন্টারের ০১৭৩০৩৩৬৪৩১ হটলাইনে প্রায় প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন। পরে তাদের স্থানীয় থানায় বা আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয়া হয়। কিন্তু সাইবার থানা চালু হলে সরাসরি সেখানেই মামলা করা যাবে। ফলে সহজেই সেবা পাবেন ভুক্তভোগীরা।
জানা গেছে, একজন অতিরিক্ত ডিআইজি থাকবেন এই সাইবার থানার প্রধান। মোট জনবল হবে ৩ শতাধিক। এতে মনিটরিং ও তদন্ত নামে থাকবে দুটি শাখা। শাখা দুটির দায়িত্বে থাকবেন পুলিশ সুপার পদমর্যাদার দুই জন কর্মকর্তা। আবার প্রতিটি শাখায় দু’জন করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চারজন করে সহকারী পুলিশ সুপার, ১৫ জন করে ইন্সপেক্টর বা পরিদর্শক ও ৩০ জন করে উপ-পরিদর্শক বা এসআই থাকবেন।
বর্তমানে সাধারণ থানাগুলোতে প্রধান হিসেবে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা ওসি হিসেবে একজন ইন্সপেক্টরও দায়িত্ব পালন করে। তবে প্রতিটি সাইবার থানার দায়িত্বে থাকবেন ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার কয়েক ধাপ উপরের কোনো কর্মকর্তা।
আনুষ্ঠানিকভাবে সাইবার থানা যাত্রা শুরু না করলেও বর্তমানে দেশের বিভিন্ন থানায় দেড় হাজারেরও বেশি প্রশিক্ষিত পুলিশ সদস্য সাইবার ক্রাইম নিয়ে কাজ করছেন। যারা সিআইডি থেকে বিশেষভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।
সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, সাইবার থানার রূপরেখা কী হবে তা নিয়ে বিস্তারিতভাবে কাজ চলছে। কারণ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় ও পুলিশ হেডকোয়ার্টার হয়ে এই প্রস্তাব প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটিতে (নিকার) এর খসড়াটি পাস হতে হবে। এসব বেশ সময়সাপেক্ষ। তবে এর আগেই পরীক্ষামূলকভাবে রাজধানীতে একটি সাইবার থানার কার্যক্রম শুরু করা হতে পারে।
বাংলাদেশে সাইবার থানার ধারণা নতুন হলেও বিশ্বের অনেক দেশে এই কার্যক্রম চলছে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সিআইডিতেও গতবছর সাইবার থানা চালু করা হয়েছে।
এদিকে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সাইবার ক্রাইম বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, দেশে সাইবার অপরাধের সিংহভাগই হচ্ছে ফেসবুক কেন্দ্রিক। যার বেশিরভাগেরই শিকার নারীরা।
চলতি মাসের ৬ জুলাই সিআইডি’র প্রধান অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মাহবুবুর রহমান সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকায় সাইবার থানা হচ্ছে বলে জানান। এই থানা হলে সারাদেশ থেকে ভুক্তভোগীরা অনলাইনে অভিযোগ করতে পারবেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
এসএস