বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:০৩ পূর্বাহ্ন
আশুলিয়ার নিখোঁজের ৪ দিন পর মোঃ রবিউল ইসলাম (১০) নামে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আশুলিয়া কাঠগড়ার দুর্গাপুর এলাকার ফাইভ স্টার স্কুলের পাশের মৃত আবুল হোসেনর বাড়ির সিঁড়ির নিচ থেকে রবিউলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত শিশু রবিউল পাবনার জেলার সাথিয়া থানার ধোপাদাও গ্রামের মোঃ সুমন হোসেনের ছেলে। সে তার পরিবারে সঙ্গে আশুলিয়ার দুর্গাপুর এলাকায় আল-আমিন শেখের বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় লেখাপড়া করতো।
স্থানীয়রা জানায়, ওই বাড়ির ভিতরে গতকাল থেকে দুর্গন্ধ পাচ্ছিলেন আশেপাশের বসবাসকারীরা। আজ দুপুরে ওই বাড়িতে সিঁড়ির নিচে রবিউলের মরদেহ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, নিখোঁজ শিশুটির বাবা রিকশা চালক এবং মা একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। প্রতিদিনের ন্যায় গত বৃহস্পতিবার সকালে ছেলে রবিউলকে বাড়িতে রেখে তারা কাজে চলে যান। পরে দুপুর একটারদিকে শিশুটির বাবা বাড়িতে এসে ছেলেকে না পেয়ে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখোঁজি শুরু করে। আজ ওই বাড়ির সিঁড়ির নিচে মরদেহ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেয় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
শিশু রবিউলের বাবা সুমন হোসেন বলেন, ছেলেকে বাড়িতে না পেয়ে পরে বাড়ির মালিকের শ্বশুড় কলিম উদ্দীন মাঝির বাড়িতে খোঁজ নিতে যান। এ সময় বাড়ির মালিক আল-আমিন শেখ এর স্ত্রী ইয়াছিমন বেগম জানায়, বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে রবিউল তাদের বাড়িতে এসেছিল। পরে কোথায় গেছে তারা জানে না। পুলিশ ইয়াসমিন বেগম কে আটক করেছে শিশু হত্যা সন্দেহে।
তিনি আরও জানান, প্রায় এগারো মাস আগে বাড়ির মালিক আল-আমিনকে তিনি আড়াই লাখ টাকা ধার হিসেবে দিয়েছিলেন। সেই পাওনা টাকা ফেরত চাওয়ায় তাকে নানা ধরণের হুমকি দেয়া হয়। এদিকে শিশু রবিউল নিখোঁজের পর থেকেই আল-আমিন শেখের শ্বশুড় ও শ্বাশুড়ী বাড়ি থেকে অন্যত্র চলে গেছে। এ ঘটনায় তিনি শুক্রবার বিকেলে আশুলিয়া থানায় জিডি করেন।
জিডিতে উল্লেখ করা হয়, বাড়িওয়ালা আল আমিনের কাছে আমি ধারের টাকা ফেরত চাইলে সে বিভিন্ন সময় আমাকে হুমকি দিয়ে আসছিলো। এরই জেরে আল আমিন আমার ছেলেকে আত্মগোপন করে রেখেছে।
আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক আল মামুন কবির বলেন একজন নারীকে আটক করা হয়েছে। হত্যায় জড়িত বাকী আসামীদের গ্রেফতারের অভিযান চলছে বলেও জানান পুলিশ।