আশুলিয়ায় ১২ বছর বয়সের শিশু মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে সৎ বাবাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার (৩০মার্চ) রাত দেড় টারদিকে নতুন বাইপাইল টাইগার কলোনি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযুক্ত মো. আলম মন্ডল (৪০) নওগাঁ জেলা সদরের রামরাই গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।
জানা যায়, প্রায় ৯ বছর আগে পরকীয়ায় জড়িয়ে আব্দুর বারেকের স্ত্রী ৪ সন্তানের জননী পোশাক শ্রমিক রোকেয়ার সাথে দ্বিতীয় বিয়ে করেন আলম মন্ডল।
আগের সংসারের এক ছেলে ও শিশু মেয়েকে নিয়ে আশুলিয়ার বাইপাইল নতুনপাড়া টাইগার কলোনি এলাকার চৌধুরী ভিলার তৃতীয় তলায় দ্বিতীয় স্বামীর সাথেই ভাড়া বাসায় থাকতো রোকেয়া।
সৎ বাবা আলম মন্ডল শিশু মেয়েকে বাসায় একা পেলেই ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করতো বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগী।
এমন অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মেয়েটি তার ভাবিকে ধর্ষণের বিষয়টি জানায়।
গত তিনদিন আগে মেয়ের ভাই ও ভাবি এবিষয়ে জানতে ঢাকার উত্তরা থেকে আশুলিয়ায় আসেন।
এদিকে এঘটনা ধামাচাপা দিতে ভুক্তভোগীর মা রোকেয়া এবং সৎ বাবা আলম মন্ডল এক লাখ টাকা দিয়ে বিষয়টি রফা করার প্রস্তাব দেয় মেয়ের বড় ভাই রুবেল কে।
ধর্ষণের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হয়ে গতকাল রাতে রুবেল বাদি হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
পরে ওই রাতেই অভিযান চালিয়ে আলম মন্ডল কে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ভুক্তভোগীর চাচাতো ভাই মো. ওহিদ মিয়া জানান, চলতি মাসের আনুমানিক ১-২ তারিখে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। পরে সবেবরাতের দুদিন আগে মেয়ে তার ভাবিকে পুরো বিষয়টা জানান। এরপর ভাবি মেয়ের বড় বোনকে বিষয়টি জানান। পরে মা এবং সৎ বাবা মিলে বিষয়টি ১লাখ টাকার বিনিময়ে ধামাচাপা দিতে মেয়ের ভাই রুবেলকে রাজি করানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু সে রাজি না হয়ে গতকাল আশুলিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পাওয়ার পর আনুমানিক রাত ১টার দিকে পুলিশ আলম মন্ডলকে গ্রেফতার করে।
এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আউয়াল হোসেন জানান, ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার আসামীকে বুধবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি ভুক্তভোগীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।