শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৮:২৬ পূর্বাহ্ন
সাভারে ইমারত নির্মাণ শ্রমিকদের দাবি দিবসে ২০২২-২৩ অর্থ বছরে বাজেটে অর্থ বরাদ্দ করে মৌলিক অধিকারসহ ১২ দফা দাবি বাস্তবায়নে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে।
মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে ইমারত নির্মাণ শ্রমিক (ইনসাব) এর শ্রমিকরা সাভারের রাজফুলবাড়ীয়া এলাকায় ইনসাব এর সাভার উপজেলার প্রধান কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের কাছে ইনসাবের বক্তারা তাদের শ্রমিকদের মৌলিক অধিকারসহ ১২ দফা দাবি বাস্তবায়ন করার জোর দাবি জানিয়েছে।
এসময় ইনসাবের সাভার উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মো: আব্দুল সাত্তার এর নেতৃত্বে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ মানববন্ধনে অনেকের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ইনসাবের সাভার উপজেলা শাখার সভাপতি মো: ইব্রাহীম, সহ-সভাপতি মো: আলতাফ হোসেন,সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবু হানিফ, দরকষাকষি সম্পাদক মো: হাসান আলী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজুর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো: আব্দুর রব সরদার, কার্যকরী সদস্য মাহবুবুর রহমান মাষ্টার প্রমুখ।
ইনসাবের শ্রমিকদের যে দাবিগুলো ছিলো-
১.সরকারি উদ্যোগে রাজধানী ঢাকা শহরে থানা ও ওয়ার্ড ভিত্তিক এবং সারাদেশে জেলা ও উপজেলা ভিত্তিক নির্মাণ কলােনী স্থাপন করে সুলভ মূল্যে দীর্ঘমেয়াদী লীজ প্রদানের মাধ্যমে নির্মাণ শ্রমিকদের বাসস্থান নিশ্চিত করতে হবে। কলােনীতে শ্রমিকদের ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ার জন্য স্কুল এবং চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপনে প্রয়ােজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে ।
২.বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের বাের্ড সভা প্রতিমাসে একবার করতে হবে । তহবিল থেকে নির্মাণ শ্রমিকদের জন্য ব্যাপক কল্যাণমুখী কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে এবং সাহায্যের আবেদন ফরমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তার সুপারিশ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে তা প্রত্যাহার করতে হবে ।
৩.শ্রম আইনের আওতায় নির্মাণ শ্রমিকদের পূর্ণ অধিকার নিশ্চিত করতে হবে । রেশনিং ব্যবস্থা, পেনশন স্কীম চালু, দুর্ঘটনায় নিহত এবং আহত বা আজীবন পঙ্গুত্ব বরণকারী শ্রমিকের ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ILO কনভেনশন ১২১ মােতাবেক
Loss Of Earning Year (এক জীবনের সমপরিমান ক্ষতিপূরণ) এর ভিত্তিতে শ্রম আইনে অন্তর্ভূক্ত করতে হবে । তবে কোনভাবেই যেন শ্রমিকদেরকে ১৫ লক্ষ টাকার কম ক্ষতিপূরণ যাতে না দিতে পারে সে ব্যাপারে সরকারকে প্রজ্ঞাপন জারী করতে হবে।
৪.নির্মাণ শ্রমিকরা তাদের অধিকার বাস্তবায়নে যাতে সহজে আদালতের স্মরণাপন্ন হতে পারে সে লক্ষ্যে প্রত্যেক জেলা/উপজেলায় শ্রম আদালত স্থাপন করতে হবে এবং অধিকার ও পাওনাদির বিষয়ে ৪২ দিনের মধ্যে বিচার কাজ সম্পন্ন করতে হবে।
৫.ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে উপযুক্ত কর্মপরিবেশ এবং নির্মাণ শ্রমিকদের পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে ।
৬.শ্রম আইন সংশােধনী ২০০৬ এর ৩২৩ ধারা মােতাবেক জাতীয় শিল্প স্বাস্থ্য কাউন্সিলে ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন বাংলাদেশ (ইনসাব) এ প্রতিনিধি অন্তর্ভূক্ত করতে হবে।
৭.কর্মস্থলে নির্মাণ শ্রমিকরা যাতে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও সহিংসতার শিকার না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।
৮.সরকারিভাবে প্রশিক্ষণ প্রদান করে শুধু সার্ভিস চার্জ নিয়ে নির্মাণ শ্রমিকদের প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের মাধ্যমে ঋণ দিয়ে বিদেশে উপযুক্ত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে এবং বর্তমানে বিদেশে কর্মরত শ্রমিকদের হয়রানি ও দুর্ভোগ বন্ধ করতে হবে ।
৯.সরকারি উদ্যোগে বিভাগীয় শহরে থানা ভিত্তিক এবং জেলা ও উপজেলায় শ্রম ছাউনি নির্মাণ করতে হবে।
১০.নারী নির্মাণ শ্রমিকদের সমকাজে সমমজুরী নিশ্চিত করতে হবে।
১১.নির্মাণ শ্রমিকদের জন্য রেজিষ্টার খাতা রাখার বিধান সকল নির্মাণাধীন ভবনে বাস্তবায়ন করতে হবে।
১২.নির্মাণ শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরী সন্তোষজনকভাবে বৃদ্ধি করতে হবে।