রবিবার, ১৩ Jul ২০২৫, ০২:০২ অপরাহ্ন
সাভারের ভাকুর্তায় আপন চাচার সাথে ভাতিজার তর্ক-বিতর্ক ও হাতাহাতির ঘটনায় উত্তপ্ত পুরো গ্রাম। এ ঘটনায় সাভার মডেল থানায় অভিযোগ করেছেন চাচা। এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছে।
সরেজমিনে ভাকুর্তা ইউনিয়নের দুদু মার্কেট এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে জানা যায়, এ মার্কেট সংলগ্ন আরাফত আলীর বাড়ি। বেশ কিছুদিন যাবত তার বড় ভাই মৃত রোশমত আলীর ছেলেদের সাথে জমি ও সীমানা নিয়ে মনোমালিন্য চলছিল। রবিবার দুদু মার্কেটের মোতালেবের দোকানের সামনে চাচা আরাফত আলীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয় ভাতিজা সিরাজুল ইসলামের। প্রত্যক্ষদর্শী মোতলেব ও শুক্কুর আলী জানান, বিষয়টি তেমন বড় কোন ঘটনা নয়। তাদের পারিবারিক বিষয়াদি নিয়ে ঝগড়া ও হাতাহাতি হয়েছে। এ ঘটনার পর আরাফত আলী সাভার মডেল থানায় মৃত বড় ভাইয়ের ছেলেদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হওয়ার জন্য যান। কিন্ত সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তারগন শরীরে কোন প্রকার আঘাতের চিহ্ন বা জখম না থাকায় ভর্তি নিতে রাজী না হয়ে তাকে বাড়ীতে ফিরে যাওয়ার পরামর্শ দেন। পরবর্তীতে তিনি হেমায়েতপুর গিয়ে একটি ক্লিনিকে ভর্তি হন।
এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়ে সাভার মডেল থানার ওসি মাইনুল ইসলাম ভাকুর্তা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্য এস আই শাহ আলমকে তদন্ত করার দায়িত্ব প্রদান করেন। এস আই শাহ আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলেন। তার সাথে কথা বললে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, বিষয়টি চাচা এবং ভাতিজার ঝগড়া ও তর্ক-বিতর্কের ঘটনা। তদন্তে মামলা মোকাদ্দমা দায়ের করার মতো তেমন কিছুই পাওয়া যায়নি।
বিষয়টি নিয়ে সিরাজুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি জানান, কাকা যে ক্লিনিকে ভর্তি হয়েছেন সেখানে গিয়ে আমি তার সাথে দেখা করেছি এবং ঝগড়া ও হাতাহাতির ঘটনায় ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছি। তিনি অভিযোগ করে জানান, এ ঘটনাকে পুঁজি করে ভাকুর্তা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনের ঘনিষ্ঠ আমার চাচা আরাফাত আলী ও তার পুত্র ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি ফারুক হোসেনকে ভুল বুজিয়ে একটি মহল আমাদেরকে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে সাভার মডেল থানায় একটি মামলা রুজু করাতে বিভিন্ন ব্যক্তিকে দিয়ে জোর তদবিরে নেমেছেন।
এ ছাড়া তারা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মহলটি সংঘর্ষ ও বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার মিথ্যা সংবাদ ছড়াচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে আরাফত আলী ও তার পুত্র ফারুকের সাথে কথা বলার জন্য মোবাইল ফোনে কয়েকবার ফোন দেয়া হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।