মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৩০ অপরাহ্ন
মিসরের জাদুঘরে শুয়ে আছে তেমনই এক নিন্দিত মানুষ নাম তার ফেরাউন। নিন্দিত হওয়ার ক্ষেত্রে সে এমনই প্রসিদ্ধি লাভ করেছে যে,তার নাম সামনে আসতেই একজন জালিম,অত্যাচারী আর অহংকারীর মুখাবয়ব সামনে ভেসে উঠে।
তার নিন্দিত হওয়ার ক্ষেত্রে অহংকার নামক মন্দ দোষের অবদান সবচেয়ে বেশি। এই অহংকারই তাকে আল্লাহর রহমত, মাগফিরাত আর জাহান্নামের নাজাত থেকে বঞ্চিত করেছে। ধিকৃত হয়ে আসছে হাজার বছর ধরে, হতে থাকবে কিয়ামত পর্যন্ত।
অহংকার আল্লাহর চাদর,এটাকে নিয়ে যে টানাটানি করবে তার ইহকাল ও পরকালের সব কল্যাণও দোটানায় পড়ে যাবে। অহংকারীকে আল্লাহ পাক ছাড় দেন না।
যেমনিভাবে আমরা ছাড় দিই না আমাদের সম্পদে যে অন্যায়ভাবে ভাগ বসাতে যায়। ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয়া বুদ্ধিমানের কাজ।
সুতরাং ফেরাউন, নমরুদ,আবু জেহেল,আবু লাহাবের জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে জীবনটাকে অহংকার মুক্ত করে নন্দিত করতে হবে,আল্লাহর মাগফিরাত অর্জন করতে হবে। আমার জন্ম এক ফোঁটা অপবিত্র পানি হতে,পেটের ভিতর সব সময় ময়লা-আবর্জনা নিয়ে ঘুরাঘুরি করি তাহলে আমার অহংকার করার কী আছে?
যে মাটির উপরে অহংকার নিয়ে পা ফেলছি সে মাটিতেই তো একদিন শুতে হবে, এটা কী বেমালুম ভুলে গেলাম। জীবন কত তুচ্ছ, ফেলনা তা করোনা এসে আমাদের হাড়ে হাড়ে বুঝিয়ে দিয়ে গেল। যারা তাদের টেকনোলজি, চিকিৎসা, ডলার,পরমাণু, ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে গর্বে ফেটে পড়ত তারা আজ অদৃশ্য এক করোনায় কুপোকাত! আছে কোন্ বাদশাহ আল্লাহ ছাড়া?
আছে কারো কোনো ক্ষমতা তাঁর ক্ষমতা ছাড়া? করোনা তাণ্ডবে ইতালির প্রধানমন্ত্রী তো বলেই দিল আমাদের সব প্রচেষ্টা শেষ সমাধান এখন আসমানে। সুতরাং লোক দেখানো অস্থায়ী অহংকার ছেড়ে ফিরে যাই অহংকারের মালিকের কাছে। তারা সামনেই নত করি গোলামির মস্তক। কথা আর কাজে এ কথা প্রমাণ করি আমরা মালিক নয় মালিকের গোলাম।
এই মনোভাব নিয়ে চলতে পারলে মাগফিরাতের দিনে-রাতে মালিকের পক্ষ থেকে ক্ষমার আসা করা যায়। আর যদি ব্যতিক্রম হয়,ভিতরে থাকে অহংকারের মতো নিন্দিত দোষ তাহলে রমজানের মাগফিরাত থাকবে তার স্থানে আর আমরা থাকব মিশরের জাদুঘরে মমি হয়ে থাকা অভিশপ্ত ফেরাউনের শিষ্যদের কাতারে। অহংকারমুক্ত জীবন গঠনই হোক আমাদের একমাত্র পণ।-আমিন
এসএস