শনিবার, ০৭ Jun ২০২৫, ১২:২২ অপরাহ্ন
ছবি: সংগৃহীত
এর আগে ভুয়া পরোয়ানায় গ্রেফতার হয়ে ৬৮ দিন কারাগারে থাকা আওলাদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন আদালতে বলেন, ‘ভুয়া পরোয়ানা সৃজনের সঙ্গে কারা জড়িত সেটা তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে সিআইডিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু তারা বিষয়টি গুরুত্ব দিচ্ছে না।’
তিনি বলেন, ‘এই ভুয়া পরোয়ানা সৃজনের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু সদস্য জড়িত আছে। ঢাকার নিম্ন আদালত থেকে প্রায়শই এই ভুয়া পরোয়ানা বের হয়। এটা বন্ধ হচ্ছে না।’
তখন হাইকোর্ট বলেন,‘ কিভাবে বন্ধ হবে? এর সঙ্গে তো কিছু আইনজীবীও জড়িত আছে। জয়নুল বলেন, ‘ভুয়া পরোয়ানার কারণে জনগণের হয়রানি বন্ধ হচ্ছে না। আপনাদের আদেশের ফলে দুই মাস জেল খেটে আমার মক্কেল কারাগার থেকে বেরিয়েছে। ভবিষ্যতে যেন আর কেউ হয়রানি না হয় সেটা নিশ্চিত করা দরকার।’
এরপরই আদালতের জিজ্ঞাসার জবাবে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রোগ্রাম অফিসার আওলাদ হোসেন জানান, সাভারে এক লোকের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। অনেকবার চেষ্টা করেই ওই ব্যক্তি আমার জমি দখল করতে পারেনি। হয়ত সেই বিরোধের সূত্রে এ ধরনের ভুয়া পরোয়ানা আমাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আদালত বলেন, ‘সিআইডি পুলিশ আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে? আওলাদ বলেন, ‘আমি এবং আমার পরিবারের সঙ্গে কোন যোগাযোগ করেনি। এরপরই হাইকোর্ট সিআইডিকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়ে রবিবার পরবর্তী আদেশের জন্য দিন ধার্য রেখেছেন।’
প্রসঙ্গত, পৃথক পাঁচটি মামলায় ভুয়া পরোয়ানা দিয়ে আওলাদকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে এ নিয়ে হাইকোর্টে রিট করেন তার স্ত্রী। হাইকোর্ট তাকে মুক্তির নির্দেশ দেয়। একইসঙ্গে ভুয়া পরোয়ানা সৃজনের সঙ্গে কারা জড়িত তা তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে সিআইডিকে নির্দেশ দেয়। কিন্তু সিআইডি গতকাল পর্যন্ত ওই প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করেনি।
এসএস