শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৪০ পূর্বাহ্ন
মোটরসাইকেল সাইড দেওয়ার সময় সামান্য ধাক্কা লাগার মত বিষয়কে কেন্দ্র করে আশুলিয়ায় এক চিকিৎসক দম্পতিকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় জামাল দেওয়ান (৪৫) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
শনিবার (১৬ জুলাই) দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়।
প্রিজনভ্যানে উঠানোর সময় গণমাধ্যম-কর্মীরা ছবি তুলতে গেলে পুলিশের সামনেই দুই-চারটা মার্ডার করলেও সমস্যা নাই বলে মন্তব্য করেন জামাল দেওয়ান।
এর আগে শুক্রবার রাতে আশুলিয়ার শেরআলী মার্কেটের ধলপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার জামাল দেওয়ান (৪৫) আশুলিয়ার ধলপুর এলাকার আব্দুল মজিদ দেওয়ানের ছেলে।
পলাতক অন্যান্য আসামিরা হলো- একই এলাকার জামাল দেওয়ানের ছেলে রকি দেওয়ান (২৫) ও তার চাচা কামাল দেওয়ান (৪৮)।
ভুক্তভোগী চিকিৎসক দম্পতি হলেন, কাঠগড়া উত্তরপাড়ার আহসান উল্লাহর ছেলে ডা. আজহারুল ইসলাম (৩০)। তিনি সাভারের এনাম মেডিক্যাল হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন। এছাড়াও আহত হন তার স্ত্রী ডা. রুমা আক্তার (২৭) ও তার শিশু সন্তান।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ জুলাই সন্ধ্যা রাতে আশুলিয়ার শ্রীপুর এলাকা থেকে প্রাইভেটকার যোগে নিজ বাড়ি কাঠগড়া উত্তরপাড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন ভুক্তভোগী আজহারুল দম্পতি। পরে তিনি আশুলিয়ার শেরআলী মার্কেট সংলগ্ন ধলপুর এলাকায় পৌছলে অভিযুক্ত রকি দেওয়ানের মোটরসাইকেলে সামান্য ধাক্কা লাগে৷ এসময় রকি উত্তেজিত হয়ে অকথ্য গালিগালাজ শুরু করেন। পরে ভুক্তভোগী তার প্রাইভেটকার থেকে নেমে ঝগড়া না করার আহবান জানান। কিন্তু এতে রকি উত্তেজিত হয়ে পাশের হোটেল থেকে একটি ছুরি এনে ভুক্তভোগী আজহারুলকে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে।
এসময় তার স্ত্রী রুমা গাড়ি থেকে নেমে স্বামীকে বাঁচাতে গেলে তার মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। পরে কামাল ও জামাল দেওয়ান লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।
এসময় রুমার গলায় থাকা ১ ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়।
এ ঘটনায় স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করেন। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে পরে থানায় মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফরহাদ বিন কবির বলেন, চিকিৎসক দম্পতির উপর হামলার ঘটনায় মামলার এজাহারভুক্ত ২ নম্বর আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।