মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:১৪ অপরাহ্ন
কটিয়াদী মডেল থানা। ছবি: সংগৃহীত
দৈনিকবিডিনিউজ৩৬০ ডেস্ক : কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে পাওনা টাকা চাওয়ায় কম্পিউটার সামগ্রী ব্যবসায়ী ইঞ্জিনিয়ার আবুল হাসান জীবনকে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে কটিয়াদী মডেল থানার এসআই মস্তোফা কামালের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার কিশোরগঞ্জ পুলিশ সুপারের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন আবুল হাসান জীবন।
ঘটনাটি ঘটেছে রোববার রাত পৌঁনে ১১টায় থানা সংলগ্ন একটি বাসায়। জানা যায়, আবুল হাসান জীবন মারধরের বিচার, পাওনা টাকা আদায় ও জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে মঙ্গলবার
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২৫ নভেম্বর কটিয়াদী মডেল থানার এসআই মস্তোফা কামাল কটিয়াদী বাজারের কলেজ রোডের মাস্টার কম্পিউটার সেলস অ্যান্ড সার্ভিস থেকে ছয় হাজার টাকায় একটি প্রিন্টার ক্রয় করেন।
মাস্টার কম্পিউটারের মালিক প্রিন্টারটি সেটিং করে দেয়ার পর নগদ ৪ হাজার টাকা দেন এবং বাকি দুই হাজার টাকা পরবর্তী সপ্তাহে দেবেন বলে জানান মস্তোফা কামাল। ১০-১৫ দিন পরে এসআই মস্তোফা কামালের কাছে বাকি দুই হাজার টাকা চাইলে তিনি আবুল হাসান জীবনকে বলেন, তুমি আমার কাছে কোনো টাকা পাবে না, যদি টাকা দিতে হয় আমি বদলি হয়ে গেলে সেদিন টাকা পাবে।
এ সময় জীবন কোনো কথা না বলে চলে আসেন। এ ঘটনার ১০ দিন পর জীবন তার ভগ্নীপতি আবু সাইদ সৈয়দ মিয়াকে টাকার জন্য এসআই মস্তোফা কামালের নিকট পাঠালে তিনি তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন এবং জীবনকে দেখা করতে বলেন।
ঘটনার দিন রোববার জীবন তার ভগ্নীপতিকে নিয়ে সুবল দাস নামের একজনের বাসায় এসআই মস্তোফা কামালের সঙ্গে দেখা করে পাওনা টাকা চান। এ সময় এসআই পাওনাদার জীবনকে প্রথমে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি প্রদর্শন করেন।
জীবন এ সবের প্রতিবাদ করলে তাকে ঘাড় ধরে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে লাথি মারে এবং বলে আবার টাকা চাইতে আসলে তোরে পিটিয়ে বাপের নাম ভুলিয়ে দেব। তোকে মাদকদ্রব্য দিয়ে মামলায় ফাঁসিয়ে জীবনের মতো ব্যবসা বন্ধ করে দেব।
ব্যবসায়ী আবুল হাসান জীবন বলেন, এ ঘটনার পর আমার পাওনা টাকা উদ্ধার, আমাকে মারধরের বিচার ও নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশ সুপারের নিকট আবেদন করেছি।
এসআই মস্তোফা কামাল বলেন, জীবন আমার বিরুদ্ধে পুলিশ সুপারের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। তার কাছ থেকে একটি প্রিন্টার কিনেছিলাম। কিন্তু প্রিন্টারটি ভালো সার্ভিস না দেয়ায় তার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়েছে। তবে মারধর করার বিষয়টি ঠিক না।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসেনপুর সার্কেল সোনাহর আলী বলেন, আমি ছুটিতে আছি। তবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে এসআই মস্তোফা কামালের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।