মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৫৬ পূর্বাহ্ন
স্পোর্টস রিপোর্টার: ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের এবারের আসরে কিংস এলেভেন পাঞ্জাবের শুরুটা ছিল যাচ্ছেতাই। রাউন্ড রবিন লিগের প্রথম পর্ব অর্থাৎ সব দলের সাত ম্যাচ শেষে পয়েন্ট টেবিলের সবার নিচে ছিল প্রীতি জিনতার দল। সেই সাত ম্যাচে মাত্র ১টি জিতেছিল পাঞ্জাব, হেরেছিল বাকি ছয়টিতে। এই সাত ম্যাচের একটিতেও নামানো হয়নি ক্যারিবীয় দানব ক্রিস গেইলকে।
অষ্টম ম্যাচে প্রথমবার সুযোগ দেয়া হয় তাকে এবং ঠিক সেই ম্যাচ থেকেই ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে পাঞ্জাব। গত ১৫ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু দিয়ে শুরু করে সোমবার (২৬ অক্টোবর) কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে ম্যাচ পর্যন্ত টানা পাঁচটি ম্যাচ জিতেছে পাঞ্জাব। সবগুলো জয়েই অবদান রেখেছেন গেইল।
ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে করেছিলেন ৫৩ রান আর কলকাতার বিপক্ষে খেললেন ২৯ বলে ৫১ রানের ম্যাচসেরার পুরস্কার পাওয়া ইনিংস। মাঝে তিন ম্যাচে তার সংগ্রহ ২৪, ২৯ ও ২০। দলে গেইলের সংযোজনের পর এমন প্রত্যাবর্তনের ফলে ১২ ম্যাচ শেষে ছয় জয় নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের চার নম্বরে উঠে এসেছে পাঞ্জাব।
যার ফলে গ্রুপপর্বে বাদ পড়ার আশঙ্কা থেকে এখন প্লে-অফে খেলার সম্ভাবনা উজ্জ্বল করে তুলেছে তারা। দলের এমন ঘুরে দাঁড়ানোর পেছনে ক্রিস গেইলের অবদানের কথা একবাক্যে স্বীকার করে নিয়েছেন পাঞ্জাব অধিনায়ক লোকেশ রাহুল, প্রশংসায় ভাসিয়েছেন ইউনিভার্স বসকে। জানিয়েছেন, গেইলের মধ্যেই সবার চেয়ে বেশি রানের ক্ষুধা দেখতে পান তিনি।
এছাড়া শুরুর ম্যাচগুলোতে তাকে না খেলানোর আফসোসও রয়েছে রাহুলের কণ্ঠে। কলকাতার বিপক্ষে জয়ের পর পুরস্কার বিতরণীতে পাঞ্জাব অধিনায়ক বলেন, ‘গেইলের বিষয়ে কী বলবো, তাকে না খেলানো অনেক কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল। গত ৭-৮ বছরে বেশ কয়েকটি ফ্র্যাঞ্চাইজিতে খেলার সুবাদে আমি দেখেছি, তার মধ্যে ক্ষুধাটা সবচেয়ে বেশি যেভাবে এক-দুই রানগুলো নেয়।’
এসময় গেইলের চরিত্রের আমুদে দিকটির কথা উল্লেখ করে রাহুল বলেন, ‘এছাড়া আপনারা সবাই জানেন, সে ড্রেসিংরুমের পরিবেশ সবসময় মজাদার করে রাখে। যা সে বছরের পর বছর ধরে করে আসছে। আমরা আজকের জয়টি উপভোগ করব, পরদিন থেকে পরের ম্যাচের কথা ভাবব। একটি একটি করে ম্যাচ ধরেই এগুতে হবে।’
সোমবার রাতের ম্যাচটিতে গেইল ছাড়াও পাঞ্জাবের পক্ষে ফিফটি হাঁকিয়েছেন ওপেনার মানদ্বীপ সিং। যিনি একদিন আগেই হারিয়েছেন নিজের বাবাকে। এই শোক মাথায় নিয়েই খেলতে নেমে ৬৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়েছেন মানদ্বীপ। তার প্রশংসা করতেও ভোলেননি পাঞ্জাব অধিনায়ক।
মানদ্বীপের ব্যাপারে রাহুলের মন্তব্য, ‘শুক্রবার নিজের বাবাকে হারানোর পর যেই দৃঢ়তাটা দেখিয়েছে মানদ্বীপ, তা নিশ্চিতভাবেই পাঞ্জাব ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলা অন্য ব্যাটসম্যানদের সাহস ও অনুপ্রেরণা জোগাবে। সবাই এ খবরটিতে ইমোশনাল হয়ে পড়েছে। তবু মাঠে নেমে ম্যাচ শেষ করার মাধ্যমে সে আমাদের গর্বিত করেছে।’
এসএস