শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ০৪:৫৫ অপরাহ্ন
দৈনিকবিডিনিউজ৩৬০ ডেস্ক : চট্টগ্রাম নগরের ডবলমুরিং থানা এলাকায় অস্ত্র-গুলি ও ছুরিসহ আট যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে থানার শেখ মুজিব রোড থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- তাজুল ইসলাম ওরফে তাজু (৩৬), তুষার হোসেন (২৫), মো. তপু (২২), হায়াত মাহমুদ জীবন (২৩), আনোয়ার হোসেন বাবু (২১), নাজমুল ইসলাম (২৮), আব্দুর রহমান রানা (২০) ও জনি শাহ (৩২)।
পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তার যুবকরা ‘পেশাদার ছিনতাইকারী’। তাদের কাছ থেকে আটটি মোবাইল ফোন, একটি এলজি বন্দুক, একটি কার্তুজ, তিনটি স্টিলের টিপ ছোরা ও দুটি মিনি কাটার জব্দ করা হয়েছে।
ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসিন গণমাধ্যমকে বলেন, গ্রেপ্তার যুবকরা একসঙ্গে চলাফেরা করে। তাদের টার্গেট করা লোককে সুবিধামত স্থানে ধরে মোবাইল, মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। দীর্ঘদিন ধরে তারা এ কাজে জড়িত এবং নগরীর বিভিন্ন থানায় তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে মামলা আছে।
ওসি বলেন, এ গ্রুপের সদস্যরা কয়েকটি ভাগে কাজ করে। যেগুলো তাদের ভাষায় ‘মিস্ত্রি’, ‘ঠ্যাকবাজ’, ‘পাসম্যান’, ‘জমাদার’ ও ‘মহাজন’ নামে পরিচিতি।
তাদের ভাষায়- যারা টার্গেট করা লোককে আটকায় তারা ‘ঠ্যাকবাজ’, যারা মালামাল ছিনিয়ে নেয় তারা ‘মিস্ত্রি’, যারা ছিনিয়ে নেয়া মালামাল সরিয়ে ফেলে তারা ‘পাসম্যান’ ও যারা মালামাল জমা রাখে তারা ‘জমাদার’।
জব্দকৃত অস্ত্র, ছুরিসহ মোবাইলফোন
এছাড়া ছিনতাই করা মালামাল যিনি কিনে নেন কিংবা তাদের টাকা দেন তাকে তারা ‘মহাজন’ নামে ডাকে।
ওসি মহসিন আরো বলেন, দলটির দলনেতার নাম তুষার। সে তাদের ‘মহাজন’, বিভিন্ন জনকে ছিনতাইয়ের পরে বেতন পরিশোধ করে। গ্রেপ্তারের পর মোবাইল ফোনগুলোও তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
তুষার জানিয়েছে, সে ছিনতাই করা মোবাইল ফোন রেয়াজউদ্দিন বাজারে আব্বাস উদ্দিন জুয়েল নামের এক ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে।
চোরাই মোবাইল কেনাবেচার অভিযোগে আব্বাসকেও একটি মামলায় আসামি করা হয়েছে বলে জানান ওসি মহসিন।
এসএস