শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ১১:৪০ অপরাহ্ন
দৈনিকবিডিনিউজ৩৬০ ডেস্ক : চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পৃথক তিনটি সংঘাতের ঘটনায় বিএনপির ১৪০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে। এসব মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গ্রেফতার করা হয়েছে ১০ জনকে।
বুধবার (২০ জানুয়ারি) রাতে বন্দর নগরীর কোতোয়ালি, বাকলিয়া ও আকবরশাহ থানায় এসব মামলা করা হয়।
এর মধ্যে নগরীর কাজির দেউড়িতে আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষের ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় ৩৫ জন, বাকলিয়ায় ছাত্রলীগ-যুবদলের সংঘর্ষের ঘটনায় ২৪ জন এবং আকবর শাহ থানায় ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের ওপর মেয়র প্রার্থী শাহাদাত হোসেনের প্রচারণা থেকে হামলার অভিযোগে ৮১ জনকে আসামি করে এসব মামলা দায়ের হয়েছে।
বুধবার রাতে নগরের কোতোয়ালি থানার নুর আহমদ সড়কে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী ও কাউন্সিলর প্রার্থী শৈবাল দাশ সুমনের একটি যৌথ নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এরপর সেখানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ, ককটেল বিস্ফোরণ ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেজাম উদ্দিন জানান, মেয়র প্রার্থীর ক্যাম্প ভাঙচুর ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় নগর ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য মোশারুফুল হক চৌধুরী পাভেল বাদি হয়ে একটি মামলা করেছেন। মামলায় ৩৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এজাহারভুক্ত আসামিদের মধ্যে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এর আগে, বুধবার বিকেলে নগরের বাকলিয়া থানার বলিরহাটে মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীর পক্ষে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এবং বিএনপির মেয়র প্রার্থী শাহাদাত হোসেনের পক্ষে যুবদলের নেতাকর্মীরা প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। এর একপর্যায়ে ছাত্রলীগ ও যুবদলের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
যুবদলের লোকজন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে কয়েকজনকে আহত করেছে, এমন অভিযোগ এনে বাকলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন ইমাম হোসেন সাগর নামে এক ব্যক্তি।
বাকলিয়া থানার ওসি মুহাম্মদ রুহুল আমীন জানান, মামলায় দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ডের বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থী ইয়াছিন চৌধুরী আছুর ছেলে সানাউল্লাহ সানিসহ স্থানীয় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ২৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ঘটনাস্থল থেকে একজনসহ মোট চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে দুজন এজাহারভুক্ত আসামি।
বুধবার দুপুরে নগরের আকবর শাহ থানার পাহাড়তলী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ চলাকালে অধ্যক্ষ ও কয়েকজন শিক্ষকের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। মেয়র প্রার্থী শাহাদাত হোসেনের গণসংযোগের সময় স্কুলের ভেতরে ঢোকার সময় বাধা পেয়ে ছাত্রদল-যুবদলের নেতাকর্মীরা এই হামলা করে বলে অভিযোগ করেন অধ্যক্ষ ফজলুল করিম।
আকবর শাহ থানার ওসি জহির হোসেন জানান, হামলার ঘটনায় নগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মঞ্জুরুল আলমসহ ৮১ জনকে আসামি করে একটি মামলা হয়েছে। পুলিশ এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে।
এদিকে, চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনকে সামনে রেখে পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ বলে বৃহস্পতিবার অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
এসএস