সোমবার সকালে নিজ ঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে পরিবার। করোনায় কোনো কাজ না থাকায় আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা পরিবার ও পুলিশের। কুমারখালী থানার ওসি মামুনুর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রত্না খাতুন কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের উত্তর যদুবয়রা গ্রামের দিনমজুর মফিজের মেয়ে।
স্থানীয়রা জানান, জন্মগতভাবে শারীরিক প্রতিবন্ধী রত্নার জীবন ছিল ওষুধের ওপর নির্ভরশীল। তারপরও কারো কাছে হাত না পেতে দর্জির কাজ করে সংসার চালাতেন রত্না। সংসারের সব খরচ তিনি একাই বহন করতেন।
রত্না জন্মগতভাবে শারীরিক প্রতিবন্ধী। ২৬ বছরেও তার কপালে জোটেনি প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড। বেঁচে থাকতে মেলেনি কোনো প্রকার সরকারি সাহায্য সহায়তা।
করোনায় কাজ না থাকায় অভাব ছিল তার নিত্যদিনের সঙ্গী। অভাবের কষ্ট সইতে না পেরে সোমবার সকালে নিজ ঘরেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।
যদুবয়রা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শরিফুল আলম বলেন, তার প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আমরা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সহযোগিতা করে আসছি তাকে। সমাজসেবা অফিস থেকে প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড করতে গেলে তার ডাক্তারি কোনো কাগজপত্র না থাকায় তা হয়নি। এবার আমরা বলার পরই তার কাগজপত্র জমা নেয়া হয়েছে।
কুমারখালী উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোহাম্মদ আলী বলেন, প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড যাচাই বাছাইয়ের তালিকায় রত্নার নাম নেই। সে আমাদের কাছেও আসেনি।