মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:০০ পূর্বাহ্ন
৪ উইকেট পেলেও রান খরচে লাগাম দিতে পারেননি ইয়াসির। ছবি:
অনলাইন রিপোর্ট: চা বিরতির পর বেশ টান টান উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল ব্রিসবেনে। গ্যাবার উইকেটে অস্ট্রেলিয়ার রান ততক্ষণে পাঁচ শ পেরিয়ে গেছে। দুই ইনিংস বাকি থাকতেই ম্যাচের ফল নিয়ে নিঃসন্দেহ হয়ে গেছেন সবাই। তবু ক্ষণিক উত্তেজনা ছড়াল। ব্যাটিং প্রান্তে মারনাস লাবুশেন। আর বোলিংয়ে ইয়াসির শাহ। দুজনের নামের পাশেই ১৮১। কে আগে ডাবল সেঞ্চুরি পাবেন?
একদিকে রান তুলেছেন লাবুশেন, অন্যদিকে জো বার্নস ও স্টিভ স্মিথের উইকেট তুলে নিয়ে দেদারসে রান দিয়েছেন ইয়াসির। দুজনের মধ্যে যেন অলিখিত প্রতিযোগিতা। এর মাঝেই ইয়াসিরের ওভার শেষ হতে তাঁকে টপকে ১৮৫তে পৌঁছে গেলেন লাবুশেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দৌড়টা থামল হতাশায়। শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে ক্যাচ দিয়ে ওই ১৮৫ রানেই বিদায় নিলেন লাবুশেন। কিন্তু দম হারালেন না ইয়াসির।
পাকিস্তানের ২৪০ রানের জবাবে অস্ট্রেলিয়া অলআউট হয়েছে ৫৮০ রানে। লাবুশেন সর্বোচ্চ ১৮৫ রান করেছেন, ওয়ার্না ফিরেছেন ১৫৪ রানে। ২০৫ রানে ৪ উইকেট ইয়াসিরে।
অস্ট্রেলিয়া তিন শ ছাড়ানো লিড পাওয়ার পরও ইনিংস ঘোষণা করল না। ফলে আরও বেশ কয়েক ওভার হাত ঘোরানোর সুযোগ হলো পাকিস্তানের এ লেগ স্পিনারের। টেল এন্ডের দুজন ব্যাটসম্যানকে তুলে নিয়ে ক্যারিয়ারে উইকেট সংখ্যা আরও দুইটি বাড়ালেন। সে সঙ্গে নিজের রান খরচের ট্যালিকে নিয়ে গেলেন ২০৫-এ। ওতেই ইতিহাসে জায়গা করে নিলেন ইয়াসির। টেস্ট ইতিহাসে একজন বোলারের তিনবার ‘ডাবল সেঞ্চুরি’ করতে দেখা যায়নি এর আগে কখনো।
টেস্টে এক ইনিংসে কোনো বোলারের দুই শ রান দেওয়ার ঘটনা ৩৫টি। এর মাঝে মাত্র তিনজন বোলার এ ‘কীর্তি’ একাধিকবার করেছেন। তবে বিনু মানকার ও সাকলায়েন মোশতাকও দুবার দুই শ পেরিয়েই সন্তুষ্ট হয়েছেন । আর সে পথে এগোননি তাঁরা। কিন্তু ২০১৬ সালেই দুবার দুই শ রান দেওয়া ইয়াসির আজও সে দুর্ভাগ্যের স্বীকার হলেন।
এক ইনিংসে রান দেওয়ায় এখনো কেউ ‘ট্রিপল সেঞ্চুরি’র স্বাদ পাননি। ১৯৩৮ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২৯৮ রান দেওয়া চাক ফ্লিটউড-স্মিথ এ দিক থেকে সবচেয়ে এগিয়ে। এক ইনিংসে দুই শ রান দেওয়ার রেকর্ডে আছে দুই বাংলাদেশির নামও। ২০১৮ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রামের মরা পিচে ২১৯ রান দিয়েছিলেন তাইজুল ইসলাম। এ বছর হ্যামিল্টনের উইকেটের ক্ষেত্রে অমন অপবাদ কেউ দিতে পারবে না। কিন্তু মাত্র ৪৯ ওভার বল করেই সেখানে ২৪৬ রান দিয়েছিলেন মেহেদি হাসান মিরাজ।