শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ১১:৩১ পূর্বাহ্ন
ধামরাই প্রতিনিধি : ধামরাইয়ে নান্দেশ্বরী ইসলামাবাদ ইব্রাহিমীয়া দারুল উলুম মাদ্রাসা ও এতিমখানার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস সালামের বিরুদ্ধে ভুয়া বিল ভাউচার, উন্নয়নের নামে কুপন দিয়ে টাকা আদায় ও শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্যসহ বিভিন্ন খাতে প্রায় ২ কোটি ৩১ লাখ টাকা আত্মসাত করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। আজ বুধবার ধামরাইয়ের নান্দেশ^রী গ্রামের ব্যবসায়ী সোহরাব হোসেন এলাকাবাসীর পক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে এমন লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার বালিয়াটি এলাকার মাওলানা আব্দুস সালাম ১৯৯২ সালে ধামরাইয়ের আমতা ইউনিয়নের নান্দেশ^রী ইসলামাবাদ ইব্রাহিমীয়া দারুল উলুম মাদ্রাসা ও এতিমখানায় অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পান। এরপর প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন ভালোভাবে চলে আসছে। কিন্তু ২০১২ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি দেখিয়ে ভুয়া বিল ভাউচার, উন্নয়নের নামে কুপন দিয়ে টাকা আদায় ও শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে প্রায় ২ কোটি ৩১ লাখ টাকা আত্মসাত করেন।
এছাড়াও তিনি অত্র মাদ্রাসা দ্বারা পরিচালিত একটি মহিলা মাদ্রাসায় স্বজনপ্রীতি করে তার নিজের স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়োগ দেওয়াসহ নিজ গ্রামে পাকা বাড়ি, ধামরাইয়ের কালামপুর বাজারের পাশে বহুতল ভবন এবং সাভার ও আশুলিয়ায় তার স্ত্রী-সন্তানদের নামে একাধিক ফ্ল্যাট রয়েছে। এছাড়া তিনি তার ছেলেকে দিয়ে একই মাদ্রাসার এক ছাত্রীকে বাল্য বিয়ে করিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করেছেন, প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাসুদ আল মামুন অধ্যক্ষের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা পেয়ে সব অনিয়মের কথা জানার পরও তাকে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। তবে মাসুদ আল মামুন এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন।
অভিযোগকারী সোহরাব হোসেন বলেন, অধ্যক্ষ আব্দুস সালামের অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছি।
এবিষয়ে অধ্যক্ষ আব্দুস সালাম তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে একটি মহল ষড়যন্ত্র করে এসব অপপ্রচার চালাচ্ছেন। তবে ছেলের বিয়ের বিষয়ে মেয়েটির বয়স কম থাকায় কাবিন রেজিষ্ট্রি করতে পারেননি বলে তিনি স্বীকার করেন।
এ বিষয়ে ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী বলেন, মাদ্রাসা ও এতিমখানার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করার জন্য উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।