বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫, ০৭:৫২ পূর্বাহ্ন
ধামরাইয়ে করিম টেক্সটাইলের এক কর্মীর কাছে প্রেমে ব্যর্থ হয়ে গণধর্ষণ করেছেন সাবেক প্রেমিকসহ তিনজন। এই ঘটনায় তরুণীর স্বামী বাদী হয়ে ধামরাই থানায় মামলা করলে সাবেক প্রেমিক রিফাত হোসেনকে (২০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে রিফাতকে রিমান্ড চেয়ে কোর্টে পাঠালে তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন কোর্ট।
শনিবার (৫ ফ্রেব্রুয়ারি) রাতে ধামরাই উপজেলার সূয়াপুর এলকায় অভিযান চালিয়ে রিফাতকে আটক করা হয়।
ঘটনাটি ঘটেছে ধামরাই উপজেলার সুতিপাড়া ইউনিয়নের কালামপুর করিম টেক্সটাইল কারখানার পূর্বপাশে ইটভাটার একটি পরিত্যাক্ত ঘরে।
আসামিরা হলেন-মো. রিফাত হোসেন (২০) উপজেলার সূয়াপুর ইউনিয়নের করিম কায়েমতারা গ্রামের মৃত আইয়ুব আলী ছেলে, বাকিরা হলেন মো. সাইফুল ইসলাম (২২), মো. সুমন মিয়া, করিম টেক্সটাইলের কর্মী জোৎস্না আক্তার ও জরিনা আক্তার।
ভুক্তভোগী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, তরুণীর সাথে রিফাতের দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরে তরুণীর অন্যত্র বিয়ে হয়ে যায়। এরইমধ্যে তরুণী গর্ভে সন্তান ধারণ করেন। জানুয়ারি মাসের ২৪ তারিখে রিফাত তরুণীর বান্ধবী জোৎস্না ও জরিনাকে দিয়ে কৌশলে দুপুর বেলা ফ্যাক্টরি থেকে ডেকে এনে করিম টেক্সটাইল কারখানার পূর্বপাশে আই এনসি ইটভাটার একটি পরিত্যাক্ত ঘরে সুমন ও সাইফুলকে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। এই সময় জোৎস্না ও জরিনা আক্তার তাদের পাহারা দিতে থাকেন। পরে ঐ ঘরের পাশ দিয়ে লোকজন যাওয়ার সময় ঘরের ভিতরে তরুণীর গোঙ্গানোর শব্দ পেয়ে এগিয়ে গেলে জোৎস্না ও জরিনা পালিয়ে যান। ঘরের দরজা বন্ধ পেয়ে ডাকাডাকি করলে ধর্ষকরা তরুণীকে রেখে পালিয়ে যান। এরপর আশপাশের লোকজন এসে উদ্ধার করে তরুণীর স্বামী সাব্বিরকে খবর দেয়। সাব্বির এসে তাকে নিয়ে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে সাব্বির বাদী হয়ে পাঁচ জনের নাম উল্লেখ করে ধামরাই থানায় মামলা করেন।
তরুণীর স্বামী সাব্বির হোসেন বলেন, আমার স্ত্রীর গর্ভে প্রায় দেড় মাসের বাচ্চা ছিল। সে বাচ্চাও নষ্ট হয়ে গেছে। তাই আমার স্ত্রীর সাথে যারা এমন অমানবিক কাজ করেছে তাদের শাস্তি চাই।
ধামরাই থানার ওসি (অপারেশন) নির্মল কুমার দাস বলেন, গণধর্ষণের ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়। সেই মামলায় অভিযান চালিয়ে রিফাত হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।