বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৫২ অপরাহ্ন
ধামরাই প্রতিনিধি : ধামরাইয়ে মাদক বিক্রিতে বাধা দেওয়ায় মাদক বিক্রেতা বাধাপ্রদানকারীর বাবাসহ এলাকার ১৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে গত বৃহস্পতিবার মামলা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মামলার বাদি উপজেলার সানোড়া ইউনিয়নের ঝাউবাধা গ্রামের আতাউর রহমান। বর্তমানে তিনি যাদবপুর ইউনিয়নে গোমগ্রামে নানার বাড়ি থেকে দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রি করে আসছেন। এরআগে মাদক বিক্রি করার অপরাধে তাকে সানোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ঝাউবাধা গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, আতাউর রহমানের সাথে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে লোহার রড দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম ও তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ভাংচুর করে ৫০ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করেন এলাকার কিছু সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোকজন। এতে বাদি তার বাবা আবেদ আলীকেও আসামি করা হয়েছে। এছাড়া গুমগ্রাম বাজার কমিটির সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান পলাশ, আমরাইল গ্রামের পারভেজ, রুহুল, পলাশ, শরীফ, সাব্বির, মামুন মোক্তার, যুবরাজ, শাকিল, আলুস্যা আমরাইল গ্রামের আতিক, গোমগ্রামের জনিসহ ১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।
তবে এলাকাবাসী ও জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে জানা গেছে, আতাউর রহমান তার স্ত্রীকে নিয়ে এলাকায় একটি মাদক সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে। তারা এলাকায় গাঁজা, ইয়াবা, হেরোইনসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক বিক্রি করে আসছে। তাকে মাদক বিক্রিতে বাধা দিয়ে আসছিলেন তার বাবাসহ এলাকাবাসী। এ নিয়ে এলাকাবাসীর কয়েকজনকে হত্যার হুমকিও দিয়েছেন তিনি। এক পর্যায়ে তাকে এলাকাবাসী মারপিট করে। তাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে এলাকাবাসী মানববন্ধন করেছে। গত ১ অক্টোবর গুগগ্রাম বাজারে মাদক বিরোধী সমাবেশ করেছে এলাকাবাসী। ওই সমাবেশে সাভার সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহিদুল ইসলাম প্রধান অতিথি ছিলেন। ওই সভায় মাদক কারবারিদের সাথে সখ্যতার অভিযোগ বিট পুলিশ কর্মকর্তা এস আই মফিজুর রহমানকে যাদবপুর ইউনিয়ন থেকে প্রত্যাহার করা হয়।
মামলার বাদির বাবা আবেদ আলী বলেন, আমার ছেলে মাদক বিক্রেতা। আমি প্রতিবাদ করাতে আমাকেও মারপিট করেছে। এখন মামলাও দিয়েছে।
সানোড়া ইউনিয় পরিষদের চেয়ারম্যান খালেদ মাসুদ খান লাল্টু জানান, আতাউর রহমান এলাকায় মাদকের ব্যবসা করে আসছিলেন। তাকে ঝাউবাধা গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
যাদবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজু জানান, আতাউর রহমান এলাকায় চিহ্ণিত মাদক ব্যবসায়ী। মাদক বিক্রিতে প্রতিবাদ করায় আদালতে মামলা করেছে আতাউর।
ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ আতিকুর রহমান বলেন, আদালতের একটি মামলা তদন্তের জন্য পেয়েছি। এতে মামলার বাদি হয়েছে আতাউর রহমান। মাদক বিক্রেতা আতাউর রহমানকেই আমরা খুঁজতেছি। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে থানায়।