মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:০৮ অপরাহ্ন
আহত মাদরাসা শিক্ষার্থী জুবায়ের।ছবি-সংগৃহীত
দৈনিকবিডিনিউজ৩৬০ ডেস্ক : কিশোরগঞ্জের নিকলীতে শেখ জুবায়ের হোসেন (৮) নামে এক মাদরাসা শিক্ষার্থীকে পিঠিয়ে মারাত্মক জখম ও হাতের দুটি আঙ্গুল ভেঙ্গে দিয়েছে মাদরাসা শিক্ষক বদরুল আমীন (৩৫)। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে ওই শিক্ষার্থীর বাবা উপজেলার কামালপুর গ্রামের শেখ মোশারফ (৩৫) নিকলী থানায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
শিক্ষক বদরুল আমিন নেত্রকোনার মদন উপজেলার দেওসহিল গ্রামের বাবুল ইসলামের পুত্র ও নিকলীর রোদারপুড্ডা জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদরাসার শিক্ষক।
পরিবার ও থানা সূত্রে জানা গেছে, সারা দেশে ’করোনা’ আতঙ্কে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আগেই বন্ধ ঘোষণা করা হলেও নিকলী উপজেলার জারইতলা ইউনিয়নের রোদাপুড্ডা জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদরাসা ১৯ মার্চ পাঠদান শেষে সাময়িক বন্ধ দেওয়া হয়। নূরানি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শেখ জুবায়েরকে শুক্রবার সকাল ৮টায় তার বাবা গ্রামে নিয়ে যায়। দুপুরে গোসল করার জন্য জুবায়ের পাঞ্জাবি খুললে চমকে উঠেন তার মা রুজিনা বেগম।
সমস্ত শরীরে লালচে মারাত্মক জখম এবং বাম হাতের দুটো আঙ্গুলও ভাঙ্গা দেখতে পান। জুবায়েরর কাছে কারণ জানতে চাইলে চরম আতঙ্কে সে কেঁদে উঠে। অনেক বোঝানোর পর সে জানায় বদরুল আমিন নামে মাদরাসার শিক্ষক বৃহস্পতিবার দুপুরে কোনো কারণ ছাড়াই উপর্যুপরি বেত্রাঘাত ও মুচড়ে আঙ্গুল ভেঙ্গে দিয়েছে।
আহত জুবায়েরকে নিকলী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. হুমাইরা আক্তার তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। যৌন নির্যাতন বা হাড় ভেঙ্গে গেছে কি না তা পরীক্ষার জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে স্থানান্তরের নির্দেশ দেন।
শেখ মোবারক হোসেন সাদী জানান, বিভিন্ন মহল থেকে ঘটনা ধামাচাপা দিতে আমাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। প্রভাবশালী একটি মহলের চাপে আতঙ্ক বোধ করছি।
মাদরাসার পরিচালক আবদুল মুক্তাদির জানান, বিষয়টি শুনেছি। ঘটনা দুদিন আগের। বৃহস্পতিবার মাদরাসা বন্ধের পরই শিক্ষক বদরুল আমিন নিজ বাড়ি নেত্রকোনায় চলে গেছেন। তিনি আসলে কঠিন বিচার করবো। বদরুল আমিনের কাছে ঘটনার সত্যতা জানতে তার মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি।
নিকলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সামছুদ্দিন মুন্না ঘটনা শুনে দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি নিকলী থানার ওসিকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান।
নিকলী থানার অফিসার ইনচার্জ শামসুল আলম সিদ্দিকী জানান, শিশুটির জখম আমি দেখেছি, দুঃখজনক। এ ব্যাপারে নিকলী থানায় একটি মামলা হয়েছে। আসামি গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এসএস