মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:০৬ পূর্বাহ্ন
দৈনিকবিডিনিউজ৩৬০ ডেস্ক: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য বিরোধী চলমান আন্দোলন নিরসনে সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য (জাবি) বন্ধ ঘোষণা ও ক্যাম্পাসের ভেতরের সব ধরনের মিছিল মিটিং নিষিদ্ধ থাকলেও আন্দোলনকারী শিক্ষক শিক্ষার্থীরা ভিসির অপসারণ দাবিতে ক্যাম্পাসে গতকালও বিক্ষোভসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে ভিসি বিরোধী আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে আন্দোলনকারীরা । শত শত আন্দোলনকারীরা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা ভেঙ্গে পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে জড়ো হয়ে ক্যাম্পাসে মিছিলে অংশ নিয়েছেন।
এদিকে শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল ও ক্যাম্পাস ত্যাগের নির্দেশ দিয়ে বুধবার থেকে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের অবস্থান ও মিছিল-সমাবেশে অংশ না নিতে বলেছে কর্তৃপক্ষ, সেই নির্দেশনা উপেক্ষা করেই এই কর্মসূচিতে যোগ দেন তারা। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার পর আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস ও ক্যাম্পাসের বাইরে থেকে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনে সামনে অবস্থান নিতে শুরু করেন।
এরপর শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সেখানে জড়ো হয়ে এক পর্যায়ে মিছিল বের করেন। আন্দোলনকারীদের মিছিলটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে বেলা ১টার দিকে বিশ্ববদ্যিালয়ের প্রান্তিক গেইট হয়ে উপাচার্য বাস ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তারা। সমাবেশ শেষে আন্দোলকারীরা পুনরায় মিছিল নিয়ে পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে সড়কের দুপাশে অবস্থান নেন।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের বাসভবনের সামনে শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেয়। এ সয় তারা পূর্বঘোষিত প্রতিবাদী কনসার্ট আয়োজন করেন।
দুর্নীতির অভিযোগে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের পদত্যাগ দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে উত্তাল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। বিক্ষুব্ধ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। এর মধ্যে বুধবার কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে আবাসিক হল ছেড়েছেন শিক্ষার্থীরা।
গত সোমবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে ফারজানা ইসলামের পদত্যাগ দাবিতে তাকে বাসভবনে অবরুদ্ধ করে রেখেছিলেন ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে আন্দোলনরতরা। মঙ্গলবার প্রশাসনিক ভবন অবরোধ এবং সর্বাত্মক ধর্মঘট পালন করেন আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। ফলে কার্যালয়ে যেতে পারছিলেন না উপাচার্য। এক পর্যায়ে আন্দোলনকারী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালান বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
এক পর্যায়ে মঙ্গলবার শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনার পরে বিকেল সাড়ে ৫টার মধ্যে হল ত্যাগের নিদের্শ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু শিক্ষার্থীরা কর্তৃপক্ষের নির্দেশ উপেক্ষা করে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে রাতেও হলে অবস্থান করেন এবং আন্দোলনকারীরা ক্যাম্পাসে অবস্থান নেন। পরে বুধবার সকাল থেকে ফের আন্দোলন শুরু করেন তারা।
শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা রাতে যখন ক্যাম্পাসে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন তখন গণমাধ্যমে এক বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে অবস্থান এবং বাইরে থেকে এসে কোনও শিক্ষার্থী যেন মিছিল সমাবেশে অংশগ্রহন বা ক্যাম্পাসের কোথাও অবস্থান না করেন সে ব্যাপারে নির্দেশনা দেয় জাবি কর্তৃপক্ষ।
এসএস /