মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৫৩ পূর্বাহ্ন
দৈনিকবিডিনিউজ৩৬০ ডেস্ক : মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় পুকুরে গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে বৃষ্টি মন্ডল (২২) নামের অন্তঃসত্ত্বা এক নারীর মৃত্যু খবর পাওয়া গেছে। তবে নিহতের মায়ের দাবি, যৌতুকের জন্য বৃষ্টিকে হত্যা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) দুপুরে ঢাকার মিডফোর্ড হাসপাতাল থেকে নিহতের মরদেহ স্বামীর বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। মৃত বৃষ্টি মন্ডল উপজেলার মালখানগর এলাকার রতন মন্ডলের স্ত্রী ও দেবীপুরা গ্রামের প্রয়াত সুনিল মন্ডলের মেয়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকাল ৬টার দিকে স্বামীর বাড়ির পাশে একটি পুকুরে গোসল করতে গিয়ে ডুবে যান। স্বামীসহ স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে জ্ঞান ফিরলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ঢাকায় রেফার করেন। রাতে ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
স্বামীর বাড়ির লোকজন জানায়, ওই নারী মৃগী রোগী ছিলেন। কিন্তু মৃতের মা ও স্বজনদের দাবি, তিনি মৃগী রোগী ছিলেন না। তাকে হত্যা করা হয়েছে।
বৃষ্টির ভাই সুরঞ্জন মন্ডল ও চাচা বলরাম মন্ডল জানান, তিন বছর আগে বিয়ে হয় বৃষ্টি ও রতনের। তাদের সংসারে দুই বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। বৃষ্টি পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। বিয়ের সময় চার ভরি স্বর্ণ, ৪ লাখ টাকা ও আসবাবপত্রসহ অনেক কিছু দেয়া হয়। স্বামীর গত ৭ মাস ধরে বিভিন্নভাবে মায়ের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন বৃষ্টি। কিন্তু বৃষ্টিকে আরও টাকা নেয়ার জন্য মারধর করতেন রতন। তাই তারা ধারণা করছেন যৌতুকের জন্য বৃষ্টিকে হত্যা করা হয়েছে।
তবে নিহতের স্বামী রতন মন্ডলের দাবি, ‘তাকে কখনো টাকার জন্য মারধর করা হয়নি। নিজেদের মধ্যে মাঝে মাঝে ঝগড়া হয়েছে। বুধবার সকালে পুকুরে গোসল করতে গিয়ে হঠাৎ পানিতে ডুবে যায় বৃষ্টি। পরে পাশের বাড়ির হুজুরের স্ত্রী ঘাটে ওর সেন্ডেল আর কাপড় দেখে খবর দেয়। আমরা গিয়ে পানি থেকে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই।’
এ বিষয়ে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সিরাজদিখান সার্কেল) মো. রাজিবুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। উভয় পক্ষের কথা শুনেছি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আপাতত একটি মামলা হবে। যদি ময়নাতদন্তে হত্যার রিপোর্ট পাওয়া যায় তাহলে মামলা চালু হবে এবং আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’