শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ১১:১৮ অপরাহ্ন
কাজলী রানী।ফাইল ছবি
দৈনিকবিডিনিউজ৩৬০ ডেস্ক : পিকনিকের ৫০ টাকা কম দেয়ায় পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী কাজলী রানীর বই কেড়ে নেন নীলফামারী জলঢাকা উপজেলার গাবরোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুর রাজ্জাক।
বিষয়টি যুগান্তরে প্রকাশিত হলে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে মীমাংসা করেও শেষ রক্ষা হয়নি বিতর্কিত প্রধান শিক্ষক আবদুর রাজ্জাকের। তাকে বদলি করা হয়েছে পাশের একটি ইউনিয়নের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যলয়ে।
এ ঘটনায় কাজলী রানীর বাবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বরাবরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
এর প্রেক্ষিতে ২৯ জানুয়ারি শিক্ষা কর্মকর্তা বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করে তদন্ত করেন ইউএনও। ঘটনাটি ৩১ জানুয়ারি যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ সহকারী শিক্ষকরা।
৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে কাজলী রানীর বাবা কৃষ্ণ চন্দ্রকে নিয়ে এসে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে মীমাংসা করে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সুজাউদ্দৌলা। পরে অভিযোগটি লিখিতভাবে তুলে নেন তিনি।
সে সময় সাংবাদিকদের কাজলীর বাবা কৃষ্ণ চন্দ্র বলেন, ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আমার কাছে ক্ষমা চাচ্ছেন এবং নির্বাহী কর্মকর্তা আমাকে অভিযোগ তুলে নিতে বললে আমি অভিযোগ তুলে নেই। তবে শুধু মীমাংসার মাধ্যমে এতবড় ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার সমালোচনা করতে দেখা গেছে অনেককে।
৫ ফেব্রুয়ারি বুধবার রংপুর উপ-পরিচালকের নির্দেশেই তাকে বদলির নোটিশ জারি করেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ। পার্শ্ববর্তী শৌলমারী ইউনিয়নের পূর্ব গোপালঝাড় চরভরট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তাকে বদলি করার আদেশ দেয়া হয় ওই নোটিশে।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ সাংবাদিকদের বলেন, অভিযুক্ত ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে তাকে বদলি করা হয়েছে।
বাকি শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নিবেন? জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সুজাউদ্দৌলার সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সাময়িকভাবে তাকে বদলি করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানতে পেরেছি।
উল্লেখ্য, গাবরোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বনভোজনের আয়োজন করে। ওই বনভোজনে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ২৫০ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী কাজলী রানী ২০০ টাকা জমা দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ সহকারী শিক্ষকরা। ওই সময় তার হাত থেকে সরকারি বিনামূল্যে বিতরণের পাঠ্যপুস্তক কেড়ে নেয়া হয়।
এসএস