সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:০০ পূর্বাহ্ন
এতে করে রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমার নতুন করে আরও চাপে পড়বে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, শাস্তির বিধান দিতে না পারলেও আদালত যদি এ বিষয়ে কোনো নির্দেশনা বা সুপারিশ করে, সেটি হবে বিশ্ব জনমতের প্রতিফলন।
গাম্বিয়ার করা মামলায় ইতিবাচক ফল আসবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। তিনি বলেন, বিষয়টির সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পৃক্ততা আগে থেকেই আছে। বিশেষ করে ওআইসির সদস্য হিসেবে আমরা যখন কী পদ্ধতিতে এগোতে হবে সেই কৌশল নির্ধারণ করি, সেখানে গাম্বিয়াকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ অনেক বৈঠকে অংশ নিয়েছে। তিনি আরও বলেন, এটা একটি প্রক্রিয়া। যেখানে সময় নির্ধারণ করে কিছু বলাটা একটু কঠিন। আমরা (মামলার বিষয়ে) অবশ্যই আশাবাদী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ যে কারণে একদম সামনে থেকে কাজগুলো করছে না, তা হল- আমরা প্রতিবেশীসুলভ একটি সুসম্পর্ক মিয়ানমারের সঙ্গে বজায় রাখতে চাই। আশা করছি, রোহিঙ্গারা ন্যায়বিচার পাবে।
তিনি বলেন, শুধু আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতের শুনানিতে নয়, আগে থেকেই বাংলাদেশ গাম্বিয়াকে তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সহযোগিতা করছে। তিনি আরও বলেন, আমার মনে হয়, আইসিজে’র এই প্রক্রিয়াটি মিয়ানমারকেও সহযোগিতা করবে তাদের দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে।
এ বিষয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান বলেন, আদালত যেটা করতে পারবেন সেটা হল- রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন ও তাদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা।
কিন্তু দণ্ড বা শাস্তির বিধান আদালত করতে পারবেন না। তিনি আরও বলেন, মিয়ানমারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ, প্রাথমিক দৃষ্টিতে সেই অভিযোগের সত্যতা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে আদালত সাময়িক কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারেন। সাময়িক কিছু নির্দেশনা দিতে পারেন। সেটা যদি করা হয় তাহলে আমরা মনে করব, সেটাই প্রাথমিক একটা বিজয়। এতে মিয়ানমার আরও চাপে পড়বে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন এ বিষয়ে বলেন, সু চির বিরুদ্ধে যে সমালোচনা সেটাতে নতুন করে যুক্ত করবে যে তিনি কতটা রাজনৈতিক স্বার্থে মানবতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে পারেন। এটা রোহিঙ্গাদের পক্ষেই যাবে। আন্তর্জাতিক আদালতে ফিফটি পার্সেন্ট প্লাস ওয়ান যদি হয়, তাহলে কিন্তু আপনি জিতে গেলেন।
তার মানে আপনার যুক্তি কিন্তু আদালত গ্রহণ করল। তিনি আরও বলেন, এটা যদি সুপারিশও হয়ে থাকে তাহলেও কিন্তু বিশ্ব জনমতের একটি প্রতিফলন। এটার কিন্তু আলাদা একটা ওজন রয়েছে।
দৈনিকবিডিনিউজ৩৬০/এসএম