মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:০১ পূর্বাহ্ন
স্পোর্টস রিপোর্টার : বয়স প্রায় ৩৯ ছুঁই ছুঁই। এ বয়সে অনেকেই ব্যাট-প্যাড তুলে রেখে দিব্যি কোচ কিংবা ধারাভাষ্যকার হয়ে গেছেন। কিন্তু শোয়েব মালিক এখনও দিব্যি পারফরম্যান্স করে যাচ্ছেন। এই যেমন, পাকিস্তানের ঘরোয়া ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি কাপেও দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে দলকে জেতালেন, এনে দিলেন শিরোপা।
রোববার ছিল পাকিস্তানের ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি কাপের ফাইনাল। এই ম্যাচেই অসাধারণ ব্যাটিং করলেন অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার। তার ২২ বলে ৫৬ রনের ঝড়ো ইনিংসের ওপর ভর করেই খাইবার পাখতুনখাওয়া স্কোরবোর্ডে জমা করে ২০৬ রান।
জবাব দিতে নেমে সাউদার্ন পাঞ্জাবও কম যায়নি। ৮ উইকেটে তারা করেছিল ১৯৬ রান। মাত্র ১০ রানে ম্যাচ জয়ে পাকিস্তানের ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি কাপের শিরোপা জিতে নেয় শোয়েব মালিকের দল খাইবার পাখতুনখাওয়া।
শোয়েব মালিক শেষ মুহূর্তে ওই ঝড়ো ব্যাটিংটা না করণে নিশ্চিত হারতে হতো তাদেরকে। যে কারণে ম্যাচ সেরার পুরস্কার অবধারিতভাবেই উঠেছে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়কের হাতে।
রাওয়ালপিন্ডিতে ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি কাপের ফাইনালে টস জিতে প্রথমে খাইবার পাখতুনখাওয়াকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান সাউদার্ন পাঞ্জাবের অধিনায়ক শান মাসুদ। আমন্ত্রণ পেয়ে ব্যাট করতে নেমে দারুণ সূচনা এনে দেন ফাখর জামান এবং অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান।
৩০ বল খেলে ২৫ রান করে আউট হন রিজওয়ান। তবে অন্য ওপেনার ফাখর জামান ঠিকই ঝড় তোলেন। ৪০ বল খেলে তিনি করেন ৬৭ রান। ৭টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৩টি ছক্কার মারও মারেন তিনি।
তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে মোহাম্মদ হাফিজ ২৬ বলে করেন ৩৮ রান। ২টি করে বাউন্ডারি এবং ছক্কার মার মারেন তিনি। ইফতিখার আহমেদ মাঠে নেমে মাত্র ১ রান করে আউট হয়ে যান।
এরপরই মাঠে নেমে ঝড় তোলেন শোয়েব মালিক। একের পর এক বাউন্ডারি আর ছক্কায় দিশেহারা করে তোলেন সাউদার্ন পাঞ্জাবের বোলারদের। তার ২২ বলে খেলা ৫৬ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৩টি বাউন্ডারি এবং ৪টি ছক্কায়। শেষ পর্যন্ত ৪ উইকেট হারিয়ে ২০৬ রান করে খাইবার পাখতুনখাওয়া। আমের ইয়ামিন, জাহিদ মাহমুদ এবং মোহাম্মদ ইমরান নেন ১টি করে উইকেট।
জবাব দিতে নেমে শান মাসুদ, জিসান আশরাফ এবং শোয়েব মাকসুদরা খুব দ্রুত ফিরে যান। ৩৪ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর হুসাইন তালাত এবং খুশদিল শাহ মিলে দারুণ জুটি গড়ে তোলেন। ১০৮ রানের মাথায় গিয়ে ভাঙে এই জুটি।
৩৩ বলে ৬৩ রান করেন হুসাইন তালাত, ৬টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৩টি ছক্কার মার মারেন তিনি। ২৪ বলে ৩৪ রান করেন খুশদিল শাহ। শেষ মুহূর্তে ১৩ বলে ৩৮ রানের ঝড় তোলেন মোহাম্মদ ইমরান। কিন্তু তার এই ঝড়ও পরাজয় বাঁচাতে পারেনি। ৮ উইকেটে ১৯৬ রানে থেমে যায় সাউদার্ন পাঞ্জাবের ইনিংস।
শাহিন শাহ আফ্রিদি নেন ৩ উইকেট। আরেক অভিজ্ঞ পেসার ওয়াহাব রিয়াজও নেন ৩ উইকেট। দু’জনই ৪ ওভার বল করে দিয়েছেন ৩৬ রান করে। ১টি করে উইকেট নেন উসমান সিনওয়ারি এবং আসিফ আফ্রিদি।