রবিবার, ২৫ মে ২০২৫, ০১:৪৪ অপরাহ্ন
দৈনিকবিডিনিউজ৩৬০ ডেস্ক : কক্সবাজারের ডিজিটাল আসইল্যান্ড খ্যাত পাহাড়ী দ্বীপ মহেশখালীতে অতি বৃষ্টির কারণে বড় মহেশখালী ইউনিয়নের ফকিরাকাটা গ্রামের প্রায় ৭০ পরিবারের ৫০টি ঘর পানিতে ডুবে গেছে। এতে করে প্রতিটি ঘরের আসবাবপত্র, ব্যবহৃত ইলেট্রিক যন্ত্রপাতিসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম নষ্ট হয়ে যায়। প্রায় বাড়ির নলকুপ, টয়লেট পানিতে ডুবে থাকায় নানান অসুবিধে সহ খাবার পানির সকটে ভুগছে তারা।
এছাড়াও মাটির ঘরের দেয়াল ধসের আশংকায় অনেকে বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র অবস্থান করছে। গবাদিপশু ও হাসমুরগি নিয়ে আছে চরম বিপাকে। ইতিমধ্যে পানিতে ডুবে হাসমুরগি ও গবাদিপশুর মৃত্যু হয়েছে।
জানা যায়, মহেশখালীর পশ্চিমের বেড়িবাধের সুইচ গেট দিয়ে পর্যাপ্ত পানি বের না হওয়ায় মুলত গ্রামটি ডুবে যায়। সুইচ গেইটের বাঁধটি কেটে দিলে পানি নেমে যাবে বলে এলাকাবাসী জানান। প্রতি বছর বর্ষাতেই সুইচ গেইটের কারণে গ্রামটি প্লাবিত হয়। ইসহাক, রবিউল আলম, মোস্তাক, শাহজান, সিরাজুল হকসহ ক্ষতিগ্রস্থ গ্রামবাসীরা জানান, গতকাল থেকে শুরু হওয়া টানা বর্ষণের কারণে গ্রামে পানি জমতে থাকে।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকার পানি এই গ্রামের পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়। খাল ভরাট ও পশ্চিমের বেড়িবাধের সুইচ গেট দিয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি বের হতে না পারায় গ্রামটি ডুবে যায়। যাতে করে গ্রামবাসীদের অপূরণীয় ক্ষতি হয় বলে তারা জানান। তারা আরো জানান, বর্তমানে গ্রামের ৫০টির অধিক পরিবার অন্যত্র বসবাস করছে। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে টানা বৃষ্টিতে গ্রামটি তলিয়ে যায়। এতে করে কৃষকের ক্ষেত খামার নষ্ট হয়ে যায়। এই বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সহযোগীতা কামনা করেছেন তারা।
মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার জামিরুল ইসলাম জানান, বিষয়টি শুনেছেন। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশ্বাস দেন। এদিকে অতিবৃষ্টির ফলে নিচু এলাকার মানুষদের সহযোগিতার জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে এবং পর্যাপ্ত পানি চলাচল নিশ্চিত করা হবে বলেও জানান।
এসএস