বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ১২:০২ পূর্বাহ্ন
দৈনিকবিডিনিউজ৩৬০ ডেস্ক : মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলায় পদ্মা নদী থেকে সরকারি তেল বহনকারী একটি কার্গো জাহাজ থেকে তেল চুরির অভিযোগে ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে নৌপুলিশ।
এ ছাড়া এ ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে হরিরামপুর থানায় একটি মামলা হয়েছে।
সূত্রমতে, গত সোমবার চট্টগ্রাম অয়েল ডিপো থেকে যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের সরকারি এক লাখ ৮৩ হাজার ৯৪৯ লিটার পেট্রোল ও পাঁচ লাখ ৪৪ হাজার ৬০৪ লিটার ডিজেল ভর্তি মেসার্স করিম শিপিং লাইনসের একটি তেলবাহী কার্গো জাহাজ সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ি ডিপোতে রওনা হয়।
পথে গত মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে তেলের কার্গো জাহাজটি হরিরামপুরের ধুলসুড়া এলাকায় পদ্মা নদীর মাঝে পৌঁছলে ওই জাহাজে কর্মরত কয়েকজন কর্মচারী ও তেল চোর চক্রের সদস্যরা তেল চুরির ঘটনা ঘটায়।
গ্রেফতার চোর চক্রের সদস্যরা হলেন- হরিরামপুরের ধুলসুড়া এলাকার লুৎফর রহমান (৪০) ও মিরাজ খান (৩৫); কার্গো জাহাজের কর্মচারী শিমুল সরদার (৩৪), মো. শরীফ (৩২), রব্বানী বিশ্বাস (৩৫), মো. লিটন (৩৫), মো. শামীম (২৫), মো. মিন্টু (৩২), কামাল মোল্লা (৩৫), মো. ফিরোজ (৩৫), মো. আউয়াল (২৮) এবং মফিজুর রহমান (২৮)। তাদের বাড়ি দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায়। পলাতক অপর সাত আসামিদের বাড়ি জেলার হরিরামপুর ও রাজাবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায়।
হরিরামপুর থানা সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার তেল চুরির ঘটনায় যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ঢাকা অঞ্চলের ব্যবস্থাপক সৈয়দ শফিকুর রহমান মামলাটি করেন। এতে তেল চোর চক্রের ১৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার চট্টগ্রাম অয়েল ডিপো থেকে যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের সরকারি এক লাখ ৮৩ হাজার ৯৪৯ লিটার পেট্রল ও ৫ লাখ ৪৪ হাজার ৬০৪ লিটার ডিজেল ভর্তি মেসার্স করিম শিপিং লাইনসের একটি তেলবাহী কার্গো জাহাজ সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ি ডিপোতে রওনা হয়।
পথে গত মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে তেলের কার্গো জাহাজটি হরিরামপুরের ধুলসুড়া এলাকায় পদ্মা নদীর মাঝে পৌঁছলে ওই জাহাজে কর্মরত কয়েকজন কর্মচারী ও তেল চোর চক্রের সদস্যরা তেল চুরি করে একটি ট্রলারে ওঠানো শুরু করেন।
এ সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফরিদপুরের কতোয়ালী নৌপুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা তেল চুরির সময় ওই ১২ জনকে আটক করেন। চোর চক্রের বাকি সাতজন ট্রলার নিয়ে পালিয়ে যান।
এ সময় চুরি করা ৭০০ লিটার পেট্রোল, ৭০ হাজার টাকা ও একটি নৌকা জব্দ করা হয়।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, এই চোর চক্রের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রাম থেকে বাঘাবাড়ি ডিপোতে তেল পরিবহনের পথে হরিরামপুরের ধুলসুড়া, পাবনার বেড়া এবং রাজাবাড়ীর দৌলতদিয়াঘাট এলাকায় নৌপথে চোরাই তেল ক্রেতারা পরস্পরের যোগসাজশে কেনাবেচা করে আসছে।
মামলার বাদী যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ঢাকা অঞ্চলের ব্যবস্থাপক সৈয়দ শফিকুর রহমান বলেন, সামনে উত্তরাঞ্চলে বোরো মৌসুমে জ্বালানি তেলের সংকট এড়াতে চট্টগ্রাম থেকে দ্রুত বাঘাবাড়ি ডিপোতে সরকারি এই তেল স্থানান্তর করা হচ্ছিল।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম ডিপো থেকে যে পরিমাণ জ্বালানি তেল বাঘাবাড়ি ডিপোতে পাঠানো, পরে সেখানে পরিমাপ করা হয়। তেলের ঘাটতি হলে শিপিং কোম্পানির মালিকপক্ষের সেই ঘাটতি তেল ক্ষতি পূরণ দিতে বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
হরিরামপুর থানার ওসি মো. মুঈদ চৌধুরী বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার গ্রেফতার ১২ আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। পরে আদালতের নির্দেশে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।