বুধবার, ১৬ Jul ২০২৫, ০৪:৪৭ অপরাহ্ন
দৈনিকবিডিনিউজ৩৬০ ডেস্ক : ফেসবুক, টুইটার, ইন্সটাগ্রামের পর এবার ইন্টারনেট সংযোগই বন্ধ করে দিল মিয়ানমারের সামরিক শাসক। এদিকে শনিবার সামরিক অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে রাস্তায় বিক্ষোভে নেমেছেন হাজার হাজার মানুষ। খবর বিবিসির।
নেটব্লকস ইন্টারনেট অবজারভেটরি জানিয়েছে, প্রায় সম্পূর্ণভাবে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। সংযোগ সাধারণ অবস্থার চেয়ে ১৬ শতাংশ নিচে নেমে এসেছে। বিবিসি বার্মিজ শাখাও ইন্টারনেট বন্ধের খবর নিশ্চিত করেছে।
গত সোমবার দেশটির সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখলের পর আজ এই পদক্ষেপ নেয়া হল।
এদিকে ইয়াঙ্গুনে জনগণ সমবেত হয়ে, ‘সামরিক স্বৈরশাসক পরাজিত, পরাজিত; গণতন্ত্র বিজয়ী বিজয়ী’ স্লোগান দিতে থাকে। শহরের কেন্দ্রে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে রাস্তাগুলো বন্ধ করে দিয়েছে। বৃহস্পতিবার ফেসবুক বন্ধের পর গতকাল রাত থেকে টুইটার ইন্সটাগ্রামও বন্ধ করে দেয় সামরিক জান্তা শাসক।
এ বিষয়ে সামরিক বাহিনীর কাছ থেকে এখনো কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের পরপর ইন্টারনেট সংযোগ সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল।
এদিকে শনিবার কারখানার শ্রমিক, ছাত্রসহ হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভে অংশ নিয়ে অং সান সু চির মুক্তি দাবি করেছে। তারা ইয়াঙ্গুনের রাস্তায় পদযাত্রা করার সময় বাসগুলো হর্ন বাজিয়ে তাদের প্রতি সমর্থন জানায়। পথচারীরা তিন আঙ্গুল উচিয়ে ‘হাঙ্গার গেমস’ স্যালুট প্রদর্শন করে। হাঙ্গার গেমস সিনেমায় দেখানো এই প্রতীকটি ওই অঞ্চলে প্রতিবাদ প্রকাশের ভাষা হয়ে উঠেছে।
বিক্ষোভকারীরা পুলিশের প্রতি গোলাপ ও পানির বোতল ছুড়ে মারে এবং নতুন শাসক গোষ্ঠীকে সমর্থন না করে জনগণকে সমর্থন করার আহ্বান জানায়।
অভ্যুত্থান হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত মিয়ানমারের পরিস্থিতি শান্তই রয়েছে। তবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মানুষকে বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে।
বিবিসির প্রতিবেদন নেইন চ্যান বলেন, বার্মিজ জনগণ ভালো করেই জানে যে সামরিক বাহিনী কেমন সহিংস ব্যবস্থা নিতে পারে। ১৯৬২ থেকে ২০১১ পর্যন্ত দেশটি কঠোর সামরিক সরকারের শাসনে ছিল। তবে এখন যেহেতু কী ঘটছে তা হজম করার সময় জনগণ পেয়েছে, তাই তারা নিজেদের কণ্ঠস্বর জোরালো করতে বিভিন্ন উপায় খুঁজে বের করছে।
এদিকে এনএলডি নেতা অং সান সু চিকে তার নেপিডোর বাড়িতে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অবৈধভাবে আমদানিকৃত যোগাযোগ সামগ্রী- ওয়াকি টকি ব্যবহারের অভিযোগ এনেছে পুলিশ।
এসএস