শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ১২:২৪ পূর্বাহ্ন
দৈনিকবিডিনিউজ৩৬০ ডেস্ক:কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসবে মেতেছে প্রভাবশালী একটি মহল। উপজেলার মৈশারচর, নলচর ও ফরাজীকান্দি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, রাতে আঁধারে সারি সারি বালুকাটার ড্রেজার বসিয়ে মেঘনার বুক চিরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।
মেঘনা নদীর তীরবর্তী উপজেলার চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের নলচর, মৈশারচর, ফরাজীকান্দি, রামপ্রসাদেরচর, টিটিরচর, বড় কান্দাইউনিয়নের রামপুরাবাজার ও সোনাকান্দাসহ আরও কয়েকটি গ্রাম ভাঙনের ঝুঁকিতে আছে।
এসব গ্রামের কোলঘেঁষে অবৈধ বালুকাটার ফলে গ্রামগুলো নদীতে বিলীন হওয়া এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। নিজেদের বসতভিটা এবং চাষী জমি নিয়ে এলাকাবাসীর চোখে-মুখে শঙ্কার ছাপ।
এলাকাবাসী জানায়, চালিভাঙ্গা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান লতিফ সরকারের নেতৃত্বে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাতে ১০ থেকে ১২টি ড্রেজার বসিয়ে এসব এলাকা থেকে বালু উত্তোলন করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এ টাকার ভাগ যাচ্ছে প্রভাবশালী মহলের কাছে।
চালিভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ সরকার বলেন, আমি বালু কাটার সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত নই, কে বা কারা বালু কাটে সেটাও আমার জানা নাই।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মেসার্স ফাহাদ এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের নামে বালুকাটার ইজারা নেয়ার পরে গত ১৭ সেপ্টেম্বর একটি রিট পিটিশনের আদেশে আদালত বালুকাটা বন্ধের আদেশ দেন। তবে ওই আদেশ অমান্য করে বালু উত্তোলন করছে একটি চক্র।
এ ব্যাপারে ফাহাদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী বশির আহম্মদ বলেন, আমার প্রতিষ্ঠানের নামে ইজারা থাকলেও আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকাতে আমরা বালু কাটা বন্ধ করে দিয়েছি। আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবগত করে রেখেছি আমার প্রতিষ্ঠান বালু কাটছে না। এখন যারা বালু কাটছে তাদের বিরুদ্ধে যেন ব্যবস্থা নেয়া হয়। উপজেলা শেখ রাসেল শিশুকিশোর পরিষদের সভাপতি আবদুল কাইয়ুম বলেন, একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় সন্ধ্যা হলেই মৈশারচর এলাকায় ড্রেজার বসিয়ে বালু কাটছে।
এ ব্যাপারে মেঘনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফরোজা বানু বলেন, বালুকাটা বন্ধে আদালতের আদেশ রয়েছে, অবৈধ বালুকাটা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। রাতের আঁধারে বালুকাটার খবর পেয়ে দূরবর্তী ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই ড্রেজার নিয়ে সটকে যাওয়ায় তাদের ধরা যাচ্ছে না।
এস/এস