শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ০৬:২০ পূর্বাহ্ন
ছবি-সংগৃহীত
দৈনিকবিডিনিউজ৩৬০ ডেস্ক : রংপুর অঞ্চলে শীতের তীব্র দাপট বেড়েছে। প্রান্তর জুড়ে ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতের তীব্রতার দাপটের সঙ্গে চলছে সূর্যের লুকোচুরি। চলছে তাপমাত্রা বাড়া-কমার খেলা। এরই মধ্যে গত সপ্তাহের তিন দিনের হালকা বৃষ্টিতে কৃষকরা চিন্তায় পড়েছেন।ঘন কুয়াশার কামড়ে আর বৃষ্টির পানিতে আলু ক্ষেতে ছত্রাকের আক্রমণ দেখা দিয়েছে। এতে হতাশ আর দিশেহারা হয়ে পড়েছে রংপুর অঞ্চলের হাজার হাজার কৃষক। তারা স্প্রে মেশিন কাঁধে নিয়ে ওষুধ ছিটাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
রংপুর সদর উপজেলার সদ্যপুস্করণী ইউনিয়নের পালিচড়ার কৃষক মতিয়ার রহমান বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে এবার এমনিতেই উৎপাদন ভালো হবে কিনা তা নিয়ে চিন্তায় আছি। এর মধ্যে হঠাৎ বৃষ্টিতে আলু ক্ষেতের সর্বনাশ হয়েছে।
মিঠাপুকুর উপজেলার শঠিবাড়ী এলাকার কৃষক মন্ডল আলী জানান, গতবারও আলুচাষ করে লোকসান গুনতে হয়েছে। এবারো একই অবস্থা। এমনিতেই শীত, ঘন কুয়াশা, তার ওপর তিন দিনের বৃষ্টি। আলুর গাছে ছত্রাক জাতীয় সংক্রমণের কারণে পচন ধরেছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, চলতি বছর রংপুর কৃষি অঞ্চলের গাইবান্ধা, কড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, রংপুর ও নীলফামারী জেলায় প্রায় ৯০ হাজার হেক্টর জমিতে আলু আবাদ হয়েছে। আর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৩ লাখ মেট্রিক টন। তীব্র শীত জেঁকে বসায় শীতের তীব্রতা আর ভারী শৈত্যপ্রবাহ ও আবারো বৃষ্টির পূর্বাভাসে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে চিন্তিত আলু চাষিরা ।
আলুর ক্ষেতের অবস্থায় ছত্রাক দমনে কীটনাশক ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছে রংপুর কৃষি বিভাগ। রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ আলী জানান, এই সময়ে আলুতে ছত্রাক জাতীয় রোগবালাই হতে পারে। বেশির ভাগ কৃষকই এটা জানে। সেক্ষেত্রে কৃষকদের কীটনাশক ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
এসএস