রবিবার, ২৫ মে ২০২৫, ০৬:০৪ অপরাহ্ন
দৈনিকবিডিনিউজ৩৬০ ডেস্ক : তিন কোটি ১৪ লাখ ৩৫ হাজার ৯০২ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় কারা অধিদফতরের সাময়িক বরখাস্তকৃত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) বজলুর রশীদের জামিন বহাল রেখেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ- ৫ এর বিচারক ইকবাল তার জামিন বহাল রাখেন। এর আগে দুদকের আইনজীবী তার জামিন বাতিল চেয়ে আবেদন করেন।শুনানি শেষে বিচারক দুদকের আবেদন নামঞ্জুর করে তার জামিন বহালের আদেশ দেন। এর আগে ২৯ অক্টোবর একই আদালত তাকে জামিন দেন।
এদিন মামলার বাদী দুদকের উপপরিচালক মো. সালাউদ্দিন আদালতে সাক্ষ্য দেন। এদিন তার জেরা শেষ না হওয়ায় জেরা ও পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ৭ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন।
এর আগে ২২ অক্টোবর ঢাকার বিশেষ জজ- ৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেন তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
১ সেপ্টেম্বর ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এ চার্জশিট গ্রহণ করেন। ২৬ আগস্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মো. নাসির উদ্দীন ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।
চার্জশিটে বলা হয়েছে, বজলুর রশীদ রূপায়ন হাউজিং স্টেট থেকে ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী রোডের ৫৫/১ (পুরাতন) ৫৬/৫৭ (নতুন) নির্মাণাধীন স্বপ্ননিলয় প্রকল্পের ২৯৮১ বর্গফুট আয়তনের অ্যাপার্টমেন্ট কেনেন। ইতোমধ্যে তিনি অ্যাপার্টমেন্টের মূল্যবাবদ তিন কোটি আট লাখ টাকা পরিশোধ করেন। এ অ্যাপার্টমেন্ট ক্রয়বাবদ বজলুর রশীদ যে টাকা পরিশোধ করেছেন, এর স্বপক্ষে কোনো বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি।
এমনকি তিনি অ্যাপার্টমেন্টের ক্রয়-সংক্রান্ত কোনো তথ্য তার আয়কর নথিতে দেখাননি। পরিশোধিত তিন কোটি আট লাখ টাকা জ্ঞাতআয় উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ। সব মিলিয়ে তার বিরুদ্ধে প্রায় সোয়া তিন কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ দুদক আইন ২৭ (১) ধারায় চার্জশিট দাখিল করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২০ অক্টোবর সকাল ১০টায় বজলুর রশীদ ও তার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকে দুদক। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই দিনই দুদকের উপপরিচালক মো. সালাউদ্দিন বাদী হয়ে বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। এরপর তাকে আদালতে হাজির করা হয়।আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বর্তমানে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন।
এসএস