রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৩৪ পূর্বাহ্ন
সাভারে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় জুয়েল মিয়া (২৭) নামের এক বালু শ্রমিককে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। এঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে সাভার থানায় মামলা দায়ের করেন।
মঙ্গলবার (০২ নভেম্বর) দুপুরে প্রীজন ভ্যানে করে অন্যান্য আসামির সাথে তাকে আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে (১ নভেম্বর) রাতে বিরুলিয়ার পঞ্চবটি বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত জুয়েল মিয়া পিরোজপুরের জেলার নেছারাবাদ থানার জিলবাড়ি গ্রামের খালেক মিয়ার ছেলে। এজাহারভুক্ত বাকি আসামীরা হলেন জুয়েলের ভাই রুবেল (৩০), কালাম মিয়া(২০), মোহাম্মদ আলী(৩৫), বাবুর্চী ইলিয়াস মিয়া(৩৫), কবির(২৫), সজল(২৪), তোতা(৩৫), ফয়সাল(৩০), লোকমান(৩৫), লালটু মিয়া(৪৫)। তারা সকলে বিরুলিয়া এলাকার লাল্টু মিয়ার বালুর ড্রেজারে শ্রমিক হিসেবে কাজ করত।
আহত দুই পুলিশ সদস্য হলেন- শিল্প পুলিশ-১ এর কনস্টেবল নূর হোসেন ও সৌরভ। তারা দুই জনই সেখানে সাদা পোশাকে ছিলেন।
পুলিশ জানায়, সোমবার বিকেলে সাভারের পঞ্চবটির বিরুলিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় হানিফের চায়ের দোকানে চা খাওয়ার জন্য বসেন শিল্প পুলিশের দুই কনস্টেবল। এসময় চা খাওয়া নিয়ে প্রায় ১২ জন বালু শ্রমিক একে অপরের সাথে তর্কে জড়িয়ে পরে। পরে ওই দুই পুলিশ কনস্টেবল তাদের পরিচয় দিয়ে তর্ক থামানোর চেষ্টা করেন। পরিচয় জানতে পেরে পুলিশদের অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে তারা। দোকানের পাশে থাকা বাঁশের ও কাঠের লাঠি দিয়ে প্রায় ১২ জন বালু শ্রমিক পুলিশ সদস্যদের মারধোর করে। এসময় গ্রেফতারকৃত জুয়েলের লাঠির আঘাতে পুলিশ সদস্য নূর হোসেনের মাথা ফেটে যায়। পরে তাকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এবং সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে সাভার থানায় মামলা দায়ের করেন পুলিশ সদস্য কনস্টেবল সৌরভ কুমার।
অপর আহত পুলিশ সদস্য সৌরভ কুমার বলেন, আমরা দুই পুলিশ সদস্য দাপ্তরিক কাজ শেষে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে আশুলিয়া আসছিলাম। আসার সময় আমরা বিরুলিয়া স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। তখন এ ঘটনা ঘটে।
সাভার থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) আব্দুল কুদ্দুস বলেন, এঘটনায় অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামী জুয়েল মিয়াকে গ্রেফতার করে দুপুরে আদালতে পাঠাই। বাকি অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।