শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ১১:৩৫ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : সাভারে বংশী নদীর পাড়ে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন। এ অভিযান আজ শনিবার ও গত শুক্রবার পরিচালনা করা হয়েছে। দু’দিনই সাভার উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাজহারুল ইসলামের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় নদীর পাড়ঘেঁষা প্রায় চার একর জমিতে অবৈধভাবে গড়ে তোলা তিন শতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
অভিযান নিয়ে সাভার ইউএনও মাজহারুল ইসলাম বলেন, আদালতের নির্দেশনায় অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হচ্ছে। সম্পূর্ণ জমি দখলমুক্ত করার আগ পযন্ত অভিযান চলবে।
সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাজহারুল ইসলাম বলেন, ২০১৪ সালে প্রায় ২ থেকে ৩ একর জমি এভাবে অবৈধভাবে দখল হয়েছে। সময়ের পরিক্রমায় এই দখলের পরিমাণ এখন ৬ থেকে ৭ একর বলে ধারণা করছি। যেখানে অন্তত ৩ শতাধিক অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুই দিনব্যাপী এই ক্রাশ প্রোগ্রামের আওতায় এই সকল স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। প্রয়োজনে দুই দিনের পরেও এই অভিযান চলমান থাকবে। ইতিমধ্যে সকাল থেকে আমরা প্রায় অর্ধশতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করেছি। যেহেতু শর্ট নোটিশে এই অভিযান শুরু হয়েছে। এখনো কিছু ব্যবসায়ী তাদের দোকানের মালামাল অপসারণ করছেন। আমরা মালামাল সড়িয়ে নিতে তাদের সুযোগ দিচ্ছি, একইসাথে অভিযানও চলমান রয়েছে।
সাভার নাগরিক কমিটি ও পরিবেশবাদী সংগঠন নদী ও পরিবেশ উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি কৃষিবিদ ড. রফিকুল ইসলাম ঠান্ডু মোল্লা বলেন, দেরিতে হলেও নদীর জমিতে নির্মিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে জেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। আমরা চাই নদী তার প্রাণ ফিরে পাক, অবৈধ দখলদারদের কবল থেকে মুক্ত হোক। অভিযানে যেন কোন প্রভাবশালীর স্থাপনাকে ছাড় না দেওয়া হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আমাদের অনুরোধ থাকবে।
উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে স্থানীয় প্রশাসনের করা অবৈধ দখলদারদের তালিকায় নাম আসে। এদিকে অভিযানকালে নামাবাজার ঘুরে দেখা যায়, নদীর তীরবর্তী জমিতে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা এসব স্থাপনার প্রতিটিতেই রয়েছে পৌরসভার হোল্ডিং নাম্বার ও বিদ্যুৎ সংযোগ। তবে এসব স্থাপনায় বিদ্যুৎ সংযোগ প্রসঙ্গে পল্লি বিদ্যুৎ-৩ এর জেনারেল ম্যানেজার মোল্লা মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, সাধারণত জমির মালিকানার কাগজ দাখিলের পরই কোন স্থাপনায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু এই স্থাপনাগুলোর বিদ্যুৎ সংযোগ অনেক আগে দেওয়া হয়েছে। যার কারণে এই মুহুর্তে ফাইল চেক না করে এবিষয়ে বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না। এখন হয়তো সময় এসেছে বিষয়গুলো পর্যালোচনা করার।
অভিযানে স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা ছাড়াও সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা, পানি উন্নয়ন বোর্ড, স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত রয়েছেন।