সোমবার, ২৩ Jun ২০২৫, ১১:৩৫ অপরাহ্ন
দৈনিকবিডিনিউজ৩৬০ ডেস্ক : রাজধানীর পল্লবীতে কর্তব্যরত পুলিশের এক সার্জেন্টকে মারধরের অভিযোগে স্থানীয় যুবলীগ নেতাকে জুয়েল রানাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি পল্লবী থানার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। ২৮ জুলাই, মঙ্গলবার আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রিয় কমিটি তাকে বহিষ্কার করে।
তবে ঘটনার দু’দিন পার হলেও অভিযুক্ত জুয়েল রানাকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, ‘পল্লবীর কালসী এলাকায় পুলিশের সঙ্গে একটি অপ্রীতিকর ঘটনার প্রেক্ষিতে পল্লবী থানা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে কেন্দ্রিয় কমিটি।’
নীতি নৈতিকতার ব্যত্যয় ঘটিয়ে সংগঠনের কেউ উশৃঙ্খলাতার পরিচয় দিলে কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না বলেও হুশিয়ার করে দেন তিনি।
এ ঘটনায় গতকাল সোমবার পল্লবী থানায় যুবলীগ নেতা জুয়েল রানাসহ অচেনা আরো ৪০ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী পুলিশ সদস্য সার্জেন্ট মো. আল ফরহাদ মোল্লা। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্লবী থানার এসআই তাপস কুণ্ড জানান, ঘটনায় জড়িত জুয়েল রানা ও তার সহযোগীরা গাঁ ঢাকা দিয়েছেন। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
প্রসঙ্গত, ২৬ জুলাই, রবিবার কালসী পুলিশ বক্সের কাছে পুলিশ সার্জেন্ট মো. আল ফরহাদ মোল্লাকে মারধর করেন জুয়েল রানা। এ সময় পিস্তল বের করে ফরহাদকে গুলি করার জন্য উদ্যোত হন জুয়েল।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পুলিশ সার্জেন্ট মো. আল ফরহাদ মোল্লা জানান, রবিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে কালসী পুলিশ বক্সের কাছে মূল সড়কে ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে বিকল হয়ে পড়ে বসুমতি পরিবহনের একটি বাস। রাস্তায় যানজট লেগে গেলে সহকর্মীদের নিয়ে বাসটি রাস্তা থেকে সড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এ সময় বিকল হওয়া বাসের চালককে গালাগাল করছিলেন জুয়েল রানা। তাকে থামার জন্য বললে উল্টো ফরহাদকেও অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতে থাকেন ওই যুবলীগ নেতা। এ সময় জুয়েলকে মাস্ক পরে কথা বলতে বললে আরো ক্ষেপে গিয়ে ফরহাদকে চরথাপ্পর মারতে থাকেন জুয়েল। একপর্যায়ে প্যান্টের পকেট থেকে পিস্তল বের করে ফরহাদকে গুলি করার জন্য উদ্যোত হন জুয়েল। সহকর্মী ও উপস্থিত লোকজনের সহায়তায় রক্ষা পান।
এসএস