মৃত্যুর এত বছর পরও শুধু দুর্দান্ত অভিনয় এবং ফ্যাশনের ভিন্নমাত্রা দিয়েই আজও দর্শকের হৃদয়ে গেঁথে আছেন সালমান।
সালমানের সিনেমায় অনেকেই খল অভিনেতার চরিত্র করেছেন। তাদের মধ্যে নানা শাহ একজন। ১৯৮২ সালে প্রয়াত আবদুল্লাহ আল মামুন পরিচালিত ‘মাটি ও মানুষ’ সিনেমায় চিত্রনায়িকা সায়মার বিপরীতে নায়কের ভূমিকায় অভিনয় করেন নানা শাহ। তবে পরে খলনায়ক হিসেবে বেশ সুনাম অর্জন করেন তিনি।
সালমান শাহ’র সঙ্গে একটি সিনেমায় কাজ করেছিলেন নানা শাহ। সেটি হচ্ছে প্রয়াত শিবলী সাদিক পরিচালিত ‘আনন্দ অশ্রু’। এই সিনেমায় খল চরিত্রে অভিনয় করে দারুণ প্রশংসিত হয়েছিলেন তিনি।
সালমান প্রসঙ্গে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘সালমানের সঙ্গে আমার একটি সিনেমায় কাজ হয়েছে। আরো অনেক ছবির কথা চলছিল সে সময়ে। ওর সঙ্গে আমার সম্পর্ক ছিল বন্ধুর মতো। বয়সে সালমান আমার দু-এক বছরের ছোট হবে। আমাকে ভাইয়া এবং তুমি করেই বলতো। আমি ওরে তুই করে বলতাম। আসলে ওর সঙ্গে আমার স্মৃতির কোনো শেষ নেই। আমার মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত ওকে আমি ভুলতে পারবো না।
আমি কাকে ভালোবাসি সেটা কথা না, আমাকে কে ভালোবাসবে এটাই বিষয়। সালমান আমাকে খুব ভালোবাসত। ইন্ড্রাস্টিতে কিছু লোক ছিল যারা আমাকে অনেক ভালোবাসত। রাজীব, হুমায়ন ফরীদি, সাদেক বাচ্চু, রাইসুল ইসলাম আসাদ আর সালমান শাহ। এরা আমাকে অনেক ভালোবাসত, ভালোবাসে।’
সালমানকে নিয়ে নানা শাহ বলেন, ‘সালমান ছিল খুবই চঞ্চল। এক জায়গায় খুব বেশিক্ষণ বসে থাকতে পারত না। ওর সঙ্গে আমার সম্পর্ক হয়েছিল এমন যে আমরা দুজন দুজনকে ছাড়া চলতেই পারবো না। একটা অজানা গল্প আজ জানাচ্ছি। ‘আনন্দ অশ্রু’ সিনেমার শুটিং আমার করার কথা ছিল না। আমি সিনেমাটা ছেড়ে দিয়েছিলাম ডিরেক্টরের সঙ্গে মনোমালিন্য হওয়ায়। তখন সালমানের ভালোবাসায় আমি পাগল হয়েছিলাম। ওর কথায়ই ছবিটি করেছি। আজ সালমান নেই। আল্লাহ ওকে ওপারে ভালো রাখুক এটাই চাই। সবাই ওর জন্য দোয়া করবেন।’