বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০৫ অপরাহ্ন
পুলিশ ও গৃহবধূর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দেড় বছর আগে নয়াগাঙেরপাড় গ্রামের শফিক মিয়ার সঙ্গে একই উপজেলার লক্ষ্মণছড়ার মুন্নী আক্তারের বিয়ে হয়। প্রায় প্রতি রাতেই শফিক নেশাগ্রস্ত হয়ে বাড়ি ফিরে মুন্নীকে মারধর করতেন। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। আজ ভোরে নেশাগ্রস্ত হয়ে বাড়ি ফিরে মুন্নীর সঙ্গে ঝগড়া শুরু করেন শফিক। পরে স্ত্রীকে লাঠি দিয়ে পেটাতে থাকেন তিনি। একপর্যায়ে মুন্নী অচেতন হয়ে গেলে শফিক নিজেই তাঁকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে স্ত্রীর লাশ নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে দুপুরে তামাবিল এলাকায় শফিককে আটক করে পুলিশ।
গৃহবধূর বড় ভাই আবদুল হান্নান অভিযোগ করে বলেন, ‘বিয়ের পর থেকেই আমার বোনকে নেশা করে মারধর করত শফিক। শনিবার ভোরেও একইভাবে আমার বোনকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।
সিলেটের গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল আহাদ প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় অভিযুক্ত শফিক মিয়াকে আটক করা হয়েছে। গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত নারীর পরিবারের লোকজন মামলা দায়ের করবেন বলে জানিয়েছেন। মামলা দায়েরের পর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসএম