রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:১৩ পূর্বাহ্ন
দৈনিকবিডিনিউজ৩৬০ ডেস্ক : জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে পুলিশের সঙ্গে ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেলসহ যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল ও ছাত্রদলের ছয় নেতাকে আগাম চার সপ্তাহের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
হাবিব-উন-নবী খান সোহেল ছাড়াও আরও যারা জামিন পেলেন- যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদ জুয়েল।
বুধবার (৩ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি হাবিবুল গণি ও বিচারপতি রিয়াজউদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে এ দিন জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। তার সঙ্গে ছিলেন- আইনজীবী আবদুল জব্বার ভূঁইয়া, গাজী কামরুল ইসলাম সজল, ব্যারিস্টার মনিরুজ্জামান আসাদ, মাকসুদ উল্লাহ, অ্যাডভোকেট রোকুনুজ্জামান সুজা, কে আর খান পাঠান, মোস্তফা সরওয়ার (সোহান) প্রমুখ।
এর আগে রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপি, ছাত্রদলসহ অঙ্গসংগঠনের ৪৮ নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে পুলিশ হত্যাচেষ্টা ও হামলা-ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ আনা হয়েছে।
রোববার রাতে শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক পলাশ শাহ বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এ মামলায় অজ্ঞাতনামা ২০০-২৫০ জনকে আসামি করা হয়।
সোমবার (১ মার্চ) এই মামলায় গ্রেফতার ছাত্রদলের ১৩ নেতাকর্মীর পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। ওই দিন তাদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ।
এ সময় সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম (এসিএমএম) আসাদুজ্জামান নূর তাদের প্রত্যেকের পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, কারাগারে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যু ও জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রোববার ছাত্রদল নেতাকর্মীরা বিনা অনুমতিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ করার চেষ্টা করেন। এ সময় পুলিশ বিক্ষোভকারীদের থামানো ও রাস্তা থেকে সরে যাওয়ার অনুরোধ করে।
এ সময় প্রেস ক্লাবের ভেতরে ঢুকে অবস্থান নেন ছাত্রদল নেতাকর্মীরা। সেখান থেকে তারা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকেন। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এরপর পুলিশ ও ছাত্রদল নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়।