বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৩১ অপরাহ্ন
আশুলিয়া প্রতিনিধি : আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ঢাকার আশুলিয়ায় এবার সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা গত বছরকে ছাড়িয়ে গেছে। তাই কৃষকরা লাভবান হওয়ার পাশাপাশি তেলের ঘাটতি মেটানো সম্ভব হবে বলে মনে করছে উপজেলা কৃষি বিভাগ।
সাভার উপজেলায় এবার প্রায় এক হাজার পাঁচ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। আশুলিয়ার পাথালিয়া, শিমুলিয়া, ধামসোনাসহ বিভিন্ন এলাকায় সরিষার আবাদ ভালো হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউনিয়নের রাঙ্গামাটি, পাড়াগ্রাম, আমতলা, কাছৈর, গণকপাড়া, নৈহাটি, পাথালিয়ার নলাম, ধামসোনা ইউনিয়নের মাইঝাইল, উলাইল, গোপালবাড়ি, ধামসোনাসহ বিভিন্ন স্থানে এবার সরিষার আবাদ ভালো হয়েছে। এসব এলাকায় মাঠগুলো হলুদ ফুলে ছেঁয়ে গেছে। আমন উৎপাদনের পর তিন মাস পড়ে থাকা পতিত জমিতে বাড়তি লাভের আশায় সরিষা চাষ করেছেন কৃষকরা। নদ-নদী তীরবর্তী জমি সরিষা চাষের উপযোগী। সেঁচ, সার ও অন্যান্য খরচ কম হওয়ায় সরিষারও ফলন ভালো হয়েছে।
সাভার উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, সাভার উপজেলার সাভার ও আশুলিয়ায় গেল বছর সরিষার আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮৬০ হেক্টর জমি। এ বছরের লক্ষ্যমাত্রা এক হাজার পাঁচ হেক্টর। বিভিন্ন ফসলি জমি, পতিত জমি ও সরিষার ফলনের আওতায় ছিল না এমন জমিনেও আবাদ করা হয়েছে সরিষা। এবার কৃষকদেরকে ৯০-৯৫ দিনের জাতের বীজের পরিবর্তে ৭৫-৮০ দিনের জাতের বীজ দেয়া হচ্ছে। এতে আগের চেয়ে কম সময়ে আবাদ করা যাচ্ছে সরিষা।
কৃষকরা জানান, জমিতে সরিষা রোপণ থেকে শুরু করে পরিপক্ক হওয়া পর্যন্ত সময় লাগে দুই থেকে আড়াই মাস। তাই ধান কাটা ও মাড়াইয়ের পর পতিত জমিতে অতিরিক্ত লাভের আশায় সরিষা আবাদ করেন তারা। আবার সরিষা উত্তোলনের পর ধান রোপণ করা হবে।
সাভার উপজেলা সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মরিয়ম খাতুন জানান, গেল বছর সাভার উপজেলায় সরিষার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮৬০ হেক্টর জমিতে। কিন্তু কৃষি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা রয়েছে, সরিষার আবাদ বাড়াতে হবে। যেন চাহিদার ৪০ ভাগ পূরণ করা যায়। সে হিসেবে এবার ২০২২-২৩ অর্থ বছরে এক হাজার পাঁচ হেক্টর জমিতে, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে এক হাজার ১০ হেক্টর জমিতে এবং ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে এক হাজার ১৫ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ওই লক্ষ্যমাত্রাকে সামনে রেখেই পতিত জমি ও আবাদি জমিতে সরিষা চাষের জন্য কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। এছাড়া যেসব জমি সরিষার আওতায় ছিল না, সেসবেও সরিষা চাষের চেষ্টা করা হচ্ছে।
প্রকৃতি অনুকূলে থাকায় এবার এ সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।