চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী সড়কের আলী স্টোরের বিক্রেতা মো. রফিক জানান, প্রতি বস্তায় ৩০০ থেকে ৩৫০ গ্রাম ওজনের বড় আকারের কিছু পেঁয়াজ থাকে। তবে বেশির ভাগই ২০০ থেকে ২৮০ গ্রাম ওজনের।
বাজারে এখন মিয়ানমারের মাঝারি আকারের যেসব পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে সেগুলোর একেকটির ওজন ২০ থেকে ২২ গ্রাম। এ হিসেবে মিয়ানমারের ১০ থেকে ১৬টি পেঁয়াজের সমান ওজন চীন বা মিসরের একটি পেঁয়াজের। ভারত রপ্তানি বন্ধের আগে দেশে মাঝারি আকারের ভারতীয় পেঁয়াজ এবং ছোট আকারের দেশীয় পেঁয়াজের সরবরাহ ছিল বাজারে।
লাল রং ছাড়াও হলুদ রঙের গোলাকার পেঁয়াজ আসছে চীন থেকে। একেকটি পেঁয়াজের ওজন ৭০ থেকে ১২০ গ্রাম। এ হিসেবে ১২-১৪টি পেঁয়াজে এক কেজি হয়। এ ধরনের পেঁয়াজের সরবরাহ কম।
চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা যায়, ভারত রপ্তানি বন্ধের পর গত দেড় মাসে বন্দর দিয়ে মিশর থেকে ৩ হাজার ৩০৬ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। চীন থেকে আমদানি হয়েছে ৮৭৬ টন। মিশর থেকে আমদানি হওয়া বড় আকারের পেঁয়াজ একটু চ্যাপ্টা। চীনের পেঁয়াজ আকারে লম্বা।
পেঁয়াজ খালাসের আগে পোকামাকড় ও মান পরীক্ষা করে উদ্ভিদ সংঘ নিরোধ কেন্দ্র। চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের সংঘ নিরোধ কেন্দ্রের উপপরিচালক আসাদুজ্জামান বুলবুল প্রথম আলোকে বলেন, চীন ও মিশর থেকে যেসব পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে তা আকারে বড়। তবে মান ভালো। এই দুই দেশ থেকে বড় আকারের পেঁয়াজই বেশি আসছে। পেঁয়াজ আমদানিতে বিকল্প দেশের সংখ্যা যত বাড়ছে ততই বৈচিত্র্যও বাড়ছে।
চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে মিশর ও চীন থেকে পেঁয়াজ আমদানি করেছে ১৯টি প্রতিষ্ঠান। এসব দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে ঢাকার তাশো এন্টারপ্রাইজ। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা অংশীদার সেলিমুল হক প্রথম আলোকে বলেন, একেক দেশের পেঁয়াজ দেখতে একেক রকম। মিশর ও চীনে বড় আকারের পেঁয়াজ যেমন আছে তেমনি মাঝারি আকারের পেঁয়াজও উৎপাদন হয়।
খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইদ্রিস প্রথম আলোকে বলেন, মিসর ও চীনের বড় আকারের পেঁয়াজের সরবরাহ এখনো কম। আড়তে সব দোকানে নেই বড় আকারের পেঁয়াজ।
এদিকে কুমিল্লা থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক গাজীউল হক জানান, কুমিল্লায় প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে। নগরের রাজগঞ্জ বাজারের রতন স্টোরে তিনটি পেঁয়াজের ওজন হয়েছে ১ হাজার ২০০ গ্রাম। ওই হিসেবে একটি পেঁয়াজের দাম পড়ে ৭২ টাকা।
দোকানের স্বত্বাধিকারী রতন মজুমদার বলেন, ‘বড় আকারের পেঁয়াজগুলো মিসর থেকে এসেছে। একেকটির ওজন প্রায় আধা কেজির মতো। বেশি দামে কিনলে বেশি দামে বিক্রি করতে হয়।’ তিনি আরও বলেন, দুই দিন আগে বড় আকারের ওই পেঁয়াজ একই দোকানে কেজি প্রতি ১১০ টাকায় বিক্রি হয়। দুই দিনের ব্যবধানে এক লাফেই কেজিতে ৭০ টাকা বেড়েছে। এদিকে আশপাশের অন্য দোকানে ২২০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হতে দেখা গেছে।