সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০২:০৫ অপরাহ্ন
ধামরাই পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আইঙ্গন মহল্লার আব্দুর রশিদের মেয়ে আইরিন আহমেদ মুক্তা স্বামীর সাথে প্রত্যারণা করে দুধের সাথে স্লোপয়জন মিশিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। ওই ঘটনা স্বামী মঈন উদ্দিন রাজিব বুঝতে পেরে ডাক্তারি পরিক্ষা করে নিশ্চিত হয়ে স্ত্রী তালাক দিয়ে হত্যা চেষ্টা মামলা করেন। মির্জাপুর থানা মামলা নং-(০১)। এ মামলায় সাবেক স্ত্রী আইরিন জেলহাজতে রয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, বছর দেড়েক আগে ধামরাই পৌরশহরের আইনগণ মহল্লার মো. আব্দুর রশীদের মেয়ে আইরিন আক্তার মুক্তার সঙ্গে টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানার গোড়াই নাজিরপাড়া এলাকার মীর মোহাম্মদ মঈন হোসেন রাজীবের বিয়ে হয়। বছরখানেক তাদের দাম্পত্য জীবন বেশ সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যেই কাটে। এরপর স্বামীর অগোচরে স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়লে বেশিরভাগ সময়ই পিত্রালয়ে অবস্থান করে। ফলে বাধ্য হয়ে স্বামী স্ত্রীর সান্নিধ্য পেতে শ্বশুরালয়ে যাতায়াত ও অবস্থান করে।
এ সুযোগে স্ত্রী কৌশলে স্বামীকে হত্যার উদ্দেশ্যে প্রতিদিন দুধের সঙ্গে ঘুমের ট্যাবলেট মিশিয়ে খাওয়াতে থাকে। এতে স্বামী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে খবর পেয়ে ১৫ আগস্ট পরিবারের সদস্যরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য। ডাক্তারি পরীক্ষায় ধরা পড়ে প্রত্যেক দিন দুধের সঙ্গে ঘুমের ট্যাবলেট মিশিয়ে সেবন করানোয় তার লিভার ৬০ ভাগ বিনষ্ট হয়ে গেছে।
ডাক্তারি পরীক্ষা-নিরীক্ষায় নিশ্চিত হওয়ার পর ওই স্বামী তার স্ত্রীকে তালাক দিয়ে থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন। শুক্রবার রাতে পুলিশ ওই গৃহবধূকে গ্রেফতার ও মামলার আলামত জব্দ করে। শনিবার দুপুরে তাকে আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ। আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণ করেছে বলে নিশ্চিত করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।
মোহাম্মদ মঈন হোসেন রাজীব বলেন, বিয়ের পর কিছুদিন ভালো গেলেও পরে আমার স্ত্রী অন্য এক যুবকের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে; যা আমি তাৎক্ষণিক জানতে পারিনি। সে আমাকে স্লোপয়জনে হত্যার উদ্দেশ্যে দুধের সঙ্গে ঘুমের ট্যাবলেট মিশিয়ে সেবন করায়। যা ডাক্তারি পরীক্ষা-নিরীক্ষায় নিশ্চিত হয়ে তাকে (স্ত্রী) তালাক দিয়ে আমি থানায় হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করি। এ মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠালে আদালত তাকে কারাগারে পাঠান। আইরিনের বাবা আব্দুর রশীদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য তার বাড়িতে গিয়ে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার ওসি শেখ রিজাউল হক দিপু বলেন, অভিযোগের সত্যতা পেয়ে থানায় রেগুলার মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। আসামীকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।