বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ০১:৫৮ অপরাহ্ন
দৈনিকবিডিনিউজ৩৬০ ডেস্ক : রক্তক্ষরণের সমস্যা নিয়ে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক নারী। একই দিন গর্ভকালের সমস্যা দেখা দেওয়ায় গর্ভপাত করানোর জন্য পাশাপাশি শয্যায় ভর্তি হন অন্তঃসত্ত্বা অপর এক নারী। তবে তাঁর গর্ভপাত না ঘটিয়ে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীর গর্ভপাত ঘটানো হয় বলে পরিবার অভিযোগ করেছে।
তবে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আরশ্বাদ উল্লাহ বলেন, হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডের ২০ ও ২১ নম্বর শয্যায় দুজন রোগী পাশাপাশি ভর্তি ছিলেন। ভুল করে অন্য রোগীর গর্ভপাত করানোর ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে ওই নারীর গর্ভপাত হয়নি, চেষ্টা হয়েছে। তদন্ত করে এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার দুপুরে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে (সদর হাসপাতাল) এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারীর চাচা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
লিখিত অভিযোগ ও ভুক্তভোগী নারীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, জেলার সাটুরিয়া উপজেলার গর্জনা গ্রামের সুমন মিয়ার স্ত্রী পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা জিয়াসমিন আক্তারের (২২) রক্তক্ষরণের সমস্যা দেখা দেয়। গত রোববার তাঁকে জেলা হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডের ২০ নম্বর শয্যায় ভর্তি করা হয়। চিকিৎসার পর তিনি অনেকটাই সুস্থ হয়ে ওঠেন। এরই মধ্যে পরদিন সোমবার জেলা সদরের কাটিগ্রাম এলাকার দেড় মাসের অন্তঃসত্ত্বা শারমিন আক্তারকে পাশের ২১ নম্বর শয্যায় ভর্তি করা হয়। দেড় বছরের এক সন্তান থাকায় এবং গর্ভকালের সমস্যা দেখা দেখা দেওয়ায় অন্তঃসত্ত্বা এই নারীর স্বামীসহ পরিবারের সদস্যরা তাঁকে গর্ভপাত করানোর জন্য হাসপাতালে ভর্তি করেন।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে গাইনি বিভাগের চিকিৎসক নাসিমা আক্তারের নির্দেশে স্বাস্থ্য সহকারী (স্যাকমো) ফাতেমা আক্তার জিয়াসমিনকে একটি কক্ষে নিয়ে জোর করে গর্ভপাত ঘটান। এ সময় তাঁর আর্তচিৎকারে মা নূরজাহান বেগম দৌড়ে ওই কক্ষে গিয়ে দেখেন, তাঁর মেয়েকে গর্ভপাত করা হয়েছে। এ সময় স্বাস্থ্য সহকারী ফাতেমা দৌড়ে পালিয়ে যান। এরপর জিয়াসমিন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন।
এসএস