রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৫৬ পূর্বাহ্ন
সেপ্টেম্বর উইন্ডোতে দুটি ম্যাচ খেলার জন্য বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে চিঠি চালাচালি করেছিল। আফগানিস্তান ছাড়া আরো কোনো দেশের সবুজ সঙ্কেত পায়নি বাফুফে।
আফগানদের বিপক্ষে ৭ সেপ্টেম্বরের ম্যাচটি আগে নির্ধারণ হয়েছিল। পরে ৪ সেপ্টেম্বর আরেকটি ম্যাচ খেলতে সম্মত হয় দুই দেশ। আফগানিস্তান যেহেতু কয়েকদিন আগে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তাই বাংলাদেশের অনুরোধে বাড়তি একটি ম্যাচ খেলছে। যদিও ৪ সেপ্টেম্বরের ম্যাচটি ফিফা উইন্ডোর না।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচটি ফিফা উইন্ডোর না হলেও খেলাটা পড়েছিল উইন্ডোর সময়ে মধ্যে। তাতে দেখা যায় ৪ থেকে ১২ সেপ্টেম্বরের উইন্ডো সূচিতে তিনটি ম্যাচ আফগানিস্তানের। ১২ সেপ্টেম্বর তাদের ম্যাচ আছে ফিলিপাইনের বিপক্ষে। ৯ দিনের এই উইন্ডোতে খেলা যাবে সর্বাধিক দুটি ম্যাচ।
যেহেতু বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের প্রথম ম্যাচটি ফিফা উইন্ডোর নয়, তাই ফিফা এটাকে উইন্ডোর বাইরে এনে আয়োজন করতে বলেছিল। সে নির্দেশনার পর ম্যাচটি একদিন এগিয়ে এনেছে বাফুফে।
যদিও ফিফা ৪ সেপ্টেম্বরের ম্যাচের অনুমোদন আগে দিয়েছিল। এখন বাংলাদেশ আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুটি ম্যাচ খেললেও শুধু দ্বিতীয়টি হবে পূর্ণ ১০ র্যাংকিং পয়েন্টের। প্রথম ম্যাচটি ৫ পয়েন্টের।
ফিফার একেক উইন্ডো একেক নিয়মের। কোনো উইন্ডোতে বেশি ম্যাচ খেলা গেলেও সেপ্টেম্বরের এই উইন্ডোতে খেলা যাবে সর্বাধিক দুটি। আবার সব টায়ার-১ ম্যাচের র্যাংকিং পয়েন্টও সমান নয়।
কোনো দেশ চাইলে সাড়া বছরই প্রীতি ম্যাচ খেলতে পারবে। উইন্ডোর বাইরের ম্যাচগুলো টায়ার-১ হলেও পয়েন্ট হবে ৫। এএফসি আয়োজিত টায়ার-১ ম্যাচের পয়েন্ট ২০। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের হলে ৪০। টায়ার-১ ম্যাচের পয়েন্ট ৫ থেকে ৬০ পর্যন্ত।
আফগানিস্তান যেহেতু ১২ সেপ্টেম্বর আরেকটি ম্যাচ খেলবে তাই বাংলাদেশের বিপক্ষে তাদের একটি ম্যাচ উইন্ডোর। সেটি ৭ সেপ্টেম্বরের। বাফুফে আগেই জানতো প্রথম ম্যাচটি টায়ার-১ এর মর্যাদা পেলেও পয়েন্ট অর্ধেক ৫।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে কম পয়েন্টের খেলাটি ঠিক করেছিল বাফুফে। এখন ম্যাচটি উইন্ডোর নির্ধারিত সময়ের বাইরে নিতে হলো ফিফার নিদের্শনায়।