সাভারে অবৈধ পাথর রিসাইকেল কারখানায় ফসলি জমি বাড়ি ঘর নষ্ট হচ্ছে

Dailybdnews360.Com
1. ২৫ জানুয়ারী, ২০২১ / ১৯০ বার পঠিত

স্টাফ রিপোটার : সাভারে একটি অবৈধ পাথর রিসাইকেল কারখানার কারণে এলাকার ফসলি জমি বাড়ি ঘর নষ্ট হচ্ছে। পাশাপাশি এলাকার শিশুসহ নানা বয়সী মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী প্রতিবাদ করলে এলাকার মানুষজনকে বাড়ি ঘর ছাড়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

এলাকাবাসী জানায়, সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের খেয়াঘাট এলাকায় স্থানীয় টিপু হাজী ও বাবুল হোসেনের কাছ থেকে ১২০ একর জমি ভাড়া নিয়ে ফাইভস্টার এন্টারপ্রাইজ নামের একটি পাথর ভাঙ্গার রিসাইকেল তৈরির কারখানা গড়ে তোলেন ইসলাম হোসেন, রানা, রাজু, মামুন ও জুয়েল নামের পাঁচ ব্যক্তি।

জানা যায়, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই অবৈধভাবে চলছে কারখানাটি। দিনে ও রাতে কারখানাটিতে বিভিন্ন মেশিনে পাথর ভাঙ্গার কারণে পাথরের পানি গিয়ে ধান ক্ষেতসহ বিভিন্ন ফসলি জমি ও গাছ পালা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সেই সাথে পাথরের ধুলো বালি বিভিন্ন বাড়ির টিনের ছাউনি গিয়ে মরিচা ধরে দ্রুত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মেশিনগুলোর বিকট শব্দে এলাকাবাসী রাতে ঘুমাতে পারছে না। সে সঙ্গে ধুলো বালির কারণে এলাকার শিশুসহ নানা বয়সী মানুষ ঠান্ডা জনিত ও শ^াসকষ্ট সহ নানা রোগে ভুগছেন।

এছাড়া পাথরের ধুলো গিয়ে মিরপুর-বিরুলিয়া আঞ্চলিক সড়কটিও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এলাকার পরিবেশ যেমন দূষিত হয়ে নষ্ট হচ্ছে। সেই সাথে হাড়াতে বসেছে এলাকার জীব বৈচিত্র্য। এবিষয়ে এলাকাবাসী প্রতিবাদ করলে জমির মালিক টিপু হাজী ও বাবুল হোসেন তাদেরকে বাড়ি ঘর অন্য স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার হুমকি প্রদান করেন বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। এমন অবস্থায় এলাকাবাসী দ্রুত এই অবৈধ কারখানাটির বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসনকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহবান জানিয়েছেন। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাথর কিনে এনে এখানে রিসাইকেল করা হয়। এলাকাবাসী ইতিমধ্যে অবৈধ কারখানাটির বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরে অভিযোগ দিয়েছে।

এবিষয়ে পাথর ভাঙ্গা রিসাইকেল তৈরির কারখানার জুয়েল নামের এক মালিক ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি না হলেও মুঠোফোনে বলেন, অনেক টাকা পয়সা নষ্ট করে কারখানাটি তৈরি করা হয়েছে। মানুষের কষ্ট হলে তাদের কিছু করার নেই।

এদিকে স্থানীয় বিরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান সুজন বলেন, অবৈধ কারখানাটির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এবিষয়ে সাভার উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম আরা নীপা বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে ওই কারখানাটির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এসএস

সংবাদটি শেয়ার করুন: