রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:২০ অপরাহ্ন
সাভার উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন আগামী বুধবার, ৫ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত হবে। পঞ্চম ধাপের এ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সাভার উপজেলার ধামসোনা ইউনিয়ন পৌরসভায় উন্নীত হওয়ার ঘোরটেপে বাধা পড়েছে। বাকী ১১টি ইউনিয়নের ১০টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান হিসেবে ফখরুল আলম সমরসহ ৮ জন সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এ ইউনিয়নে শুধু মাত্র সাধারণ আসন—১ ও ৬ এবং সংরক্ষিত মহিলা আসন—১ ও ৩ এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তাই সাভারে নির্বাচন হবে মূলত ১০টি ইউনিয়নে। এ ১০টি ইউনিয়নেই চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীকের প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী। তবে আমিনবাজার, বনগাঁও, ইয়ারপুর ও শিমুলিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগ যুদ্ধে বিএনপি নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিজয় লাভ করলে আশ্চর্যে্যর হওয়ার কিছু থাকবে না।
সংগঠনের কঠোর হুঁশিয়ারি, এমনকি বহিষ্কার হলেও ভোটের মাঠ ছাড়ছেন না আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীরা। বরং দল মনোনীত প্রার্থী ও প্রতীক ডোবাতে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে স্বতন্ত্র হয়ে ভোটের প্রচারণা চালাচ্ছেন তারা। সাভারের একাধিক ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের প্রচারণার দাপটে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা মাঠে দাড়াতে পারছে না।
আশুলিয়া থানার ৪ ইউনিয়নের ৬ বিদ্রোহী প্রার্থীকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কারের প্রস্তাব কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। সাভার থানার ৭চি ইউনিয়নের বিদ্রোহী প্রার্থীদের দল থেকে বহিষ্কার করার কথা বললেও তা আর করা হয়নি। তবে আওয়ামী লীগের বেশকিছু নেতাকর্মীরা বিদ্রোহীদের পক্ষে অবস্থান নেওয়ায় দলের ভেতর অস্বস্তি ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।
সাভার সদর ইউনিয়ন
সাভার সদর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সোহেল রানা (নৌকা), শ্রমিকলীগের সাভার থানা আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল (আনারস) ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আল মাহমুদ বিশ্বাস (হাতপাখা)।
এ ইউনিয়নে সোহেল রানা ও আব্দুল আউয়ালের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। তবে আব্দুল আউয়াল শ্রমিক রাজনীতি করায় সাধারণ জনগণের মধ্যে তার অবস্থান খুব দৃঢ়। এছাড়া জরশ্রম্নতি রয়েছে আওয়ামী লীগের অনেক নেতা—কর্মীই আব্দুল আউয়ালের পক্ষে কাজ করছেন। তিনি বিএনপিরও অনেক ভোট পাবেন বলে শোনা যাচ্ছে। ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের সাধারণ ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এখন পর্যন্ত ভোটের মাঠে এগিয়ে আছেন আনারস প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল আউয়াল।
ভাকুর্তা ইউনিয়ন
ভাকুর্তা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৬ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের লিয়াকত হোসেন (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থীরা হলেন—নুরুল মমিন (মোটর সাইকেল), বর্তমান আলহাজ¦ আনোয়ার হোসেন (ঘোড়া), মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন (আনারস), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাহমুদুল হাসান মোরতাজ (হাত পাখা) ও শহিদুল ইসলাম।
এ ইউনিয়নে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী লিয়াকত হোসেন ও বর্তমান চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ¦ আনোয়ার হোসেনের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। আলহাজ¦ আনোয়ার হোসেনে দীর্ঘ বছর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করায় তার সঙ্গে জনগণের পাওয়া না পাওয়ার হিসাবটা দীর্ঘ হয়েছে। এদিকে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী লিয়াকত হোসেন বয়সে তরুণ এবং ক্লিন ইমেজের মানুষ হিসেবে অনেকের কাছেই তিনি গ্রহণযোগ্য। নির্বাচনে তাঁর বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
বিরুলিয়া ইউনিয়ন
বিরুলিয়া ইউনিয়নে ০৭ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বর্তমান চেয়রম্যান সাইদুর রহমান সুজন (নৌকা), সাভার থানা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য স্বতন্ত্র প্রার্থী—সেলিম মন্ডল (আনারস), আওয়ামী লীগ পরিবারের সদস্য গিয়াস উদ্দিন (মোটর সাইকেল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মিনহাজ উদ্দিন মিনু (হাত পাখা), জাতীয় পার্টির উজির মাহমুদ (লাঙ্গল), শাহীন মিয়া (চশমা) ও মহাসীন মন্ডল (ঘোড়া)।
এ ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান সুজন ও সেলিম মন্ডলের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। এ ইউনিয়নে প্রচার—প্রচারনায় এগিয়ে আছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সেলিম মন্ডল। এ ইউপি এলাকায় গত পাঁচ বছরে তেমন কোনো উন্নয়ন না হওয়া পরিবর্তনের আভাস দিচ্ছেন ভোটাররা। এ ছাড়া বিরুলিয়া ইউনিয়নের নির্বাচনে বড় ফ্যাক্টর মন্ডল গোষ্ঠি বরাবরের মতো এবারও ঐক্যবদ্ধ। তারা আনারস প্রতীকের সেলিম মন্ডলের পক্ষে নির্বাচনে কাজ করছেন। এছাড়া বিএনপির সিংহভাগ নেতাকর্মী সেলিম মন্ডলের পক্ষে আছেন বলে শোনা যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে বিজয়ের পথে সেলিম মন্ডল এগিয়ে আছেন।
শিমুলিয়া ইউনিয়ন
শিমুলিয়া ইউনিয়নে ০৯ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের এবিএম আজাহারুল ইসলাম সুরুজ (নৌকা), সাংবাদিক জাকির হাসান (টেলিফোন), শিমুলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক স্বতন্ত্র প্রার্থী মো: আব্দুল্লাহ আল মামুন (ঘোড়া), আশুলিয়া থানা যুবলীগের সদস্য মো: মাসুদ আল নুর সজীব (চশমা), মো: ইকবাল হোসেন (আনারস), মো: জসিম উদ্দিন খান (মোটরসাইকেল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ফয়েজ হোসেন (হাতপাখা) ও মো: সাইদুর রহমান, অটোরিক্সা (নির্বাচন থেকে সরে দাড়িয়েছেন)। সবচেয়ে বেশি চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছে এ ইউনিয়নে। নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় আশুলিয়া থানা যুবলীগের সদস্য মো: মাসুদ আল নুর সজীবকে (চশমা) বহিষ্কার করেছে আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগ।
বর্তমান চেয়ারম্যান ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এবিএম আজাহারুল ইসলাম সুরুজ দীর্ঘদিন চেয়ারম্যান থাকায় এবং এলাকায় তেমন উন্নয়ন না হওয়ায় এ ইউনিয়নে পরির্বতন হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। এছাড়া তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন আওয়ামী পরিবারের সদস্য যুবলীগ থেকে বহিষ্কৃত নেতা মো: মাসুদ আল নুর সজীব (চশমা)। তিনিও নৌকার ভোটে ভাগ বসাবেন। ফলে এ ইউনিয়নে বিএনপি নেতা ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন এলাকায় ক্লিন ইমেজের অধিকারী এবং এলাকাবাসীর কাছে গ্রহণযোগ্যতা থাকায় তার বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পাথালিয়া ইউনিয়ন
পাথালিয়া ইউনিয়নে ০৫ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পারভেজ দেওয়ান (নৌকা), আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী স্বতন্ত্র মোয়াজ্জেম হোসেন (আনারস), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আলফাজ উদ্দিন সিরনিয়াবাত (হাতপাখা), জাকের পর্টির মো: কুটি মিয়া (গোলাপ ফুল) ও শাহজাহান সিরাজ (চশমা)।
এ ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী পারভেজ দেওয়ান ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আনারস প্রতীকের মোয়াজ্জেম হোসেনের মধ্যে তীব্র প্রতিযোগিতা হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। এ দু’ প্রার্থী সম্পর্কে মামা—ভাগ্নে। নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় মোয়াজ্জেম হোসেনকে পাথালিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে বহিষ্কার করেছে আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগ। অতীত নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী আনারস প্রতীকের মোয়াজ্জেম হোসেন তার মামা নৌকা প্রতীকের প্রার্থী পারভেজ দেওয়ানের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। এবার দলের মনোনয়ন না পেয়ে মোয়াজ্জেম হোসেন দলের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। তবে ভোটের মাঠে বিজয়ের পথে এগিয়ে আছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আনারস প্রতীকের মোয়াজ্জেম হোসেন।
বনগাঁও ইউনিয়ন
বনগাঁও ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে এখন ৫ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাইফুল ইসলাম (নৌকা), বিএনপি নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান সাইদুল ইবনে হাসিব (আনারস), আওলাদ হোসেন মোল্লা (মোটরসাইকেল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মোক্তার হোসেন (হাতপাখা) ও সাইফ উদ্দিন (চশমা)।
এ ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান নৌকা প্রতীকের সাইফুল ইসলাম ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী মোটরসাইকেল মার্কার আওলাদ হোসেন মোল্লার ভোট যুদ্ধে দলের ভোগ ভাগ হবে। সেক্ষেত্রে বিএনপি নেতা সাবেক চেয়ারম্যান আনারস প্রতীকের সাইদুল ইবনে হাসিবের বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেশী রয়েছে।
আমিনবাজার ইউনিয়ন
আমিনবাজার ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ০৪ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মো: রকিব আহম্মেদ (নৌকা), বিএনপি’র স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহবুব উল্লাহ (আনারস), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা শফিকুর রহমান (হাতপাখা) ও রাজু আহম্মেদ (ঘোড়া)।
এ ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার হোসেন ৬ ছাত্র হত্যা মামলায় ফাঁসির দন্ডে অভিযুক্ত হয়ে কারাগারে রয়েছেন। এবারে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছে মো: রকিব আহম্মেদ। তবে এ ইউনিয়নে আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহবুব উল্লাহ’র সমর্থনে স্থানীয় বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের একটি অংশ কাজ করছে বলে জানা গেছে। তাই নৌকা প্রতীকের রকিব আহম্মেদকে হারিয়ে আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহবুব উল্লাহ বিজয়ী হতে পারে।
কাউন্দিয়া ইউনিয়ন
কাউন্দিয়া ইউনিয়নে ০৫ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হাজী মো: মেশের আলী (নৌকা), আওয়ামী লীগ নেতা বর্তমান চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান খান শান্ত (আনারস), স্বতন্ত্র প্রার্থীরা হলেন—সাইফুল আলম খান (ঘোড়া) ও সাহাবুদ্দিন কবিরাজ (মোটর সাইকেল)।
সাভারের এ ইউনিয়নের চিত্র একটু ভিন্ন। নৌকা প্রতীকের হাজী মো: মেশের আলী নির্বাচনী মাঠে প্রচার—প্রচারণায় থাকলেও এখানে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে আনারস প্রতীকের বর্তমান চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান খান শান্ত ও ঘোড়া মার্কার সাইফুল আলম খানের মধ্যে। তবে আনারস প্রতীকের আতিকুর রহমান খান শান্ত ক্লিন ইমেজের মানুষ হিসেবে এলাকায় তার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।
ইয়ারপুর ইউনিয়ন
ইয়ারপুর ইউনিয়নে এখন ০৪ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সৈয়দ আহম্মেদ ভূঁইয়া (নৌকা), বিএনপি নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী—হাজী দেলোয়ার হোসেন সরকার (চশমা), জাতীয় পার্টির আল কামরান (লাঙ্গল) ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মোকলেসুর রহমান (হাতপাখা)।
এ ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সৈয়দ আহম্মেদ ভূঁইয়া ও বিএনপি নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী চশমা প্রতীকের হাজী দেলোয়ার হোসেন সরকারের মধ্যে হাড্ড—হাড্ডি লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বিভিন্ন হিসাবের যোগফলে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সৈয়দ আহম্মেদ ভূঁইয়া বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
আশুলিয়া ইউনিয়ন
আশুলিয়া ইউনিয়নে ০৫ জন প্রার্থী নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শাহাব উদ্দিন মাদবর (নৌকা), বিদ্রোহী প্রার্থী আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হেলাল উদ্দিন (ঘোড়া) ও সাভার উপজেলা শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাজু আহম্মেদ (আনারস), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আব্দুল কাইয়ুম (হাতপাখা) ও জাকের পার্টির বদরুল আলম (গোলাপ ফুল)।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হেলাল উদ্দিন (ঘোড়া) ও সাভার উপজেলা শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাজু আহম্মেদকে (আনারস) বহিষ্কার করেছে আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগ। আশুলিয়া ইউনিয়নে নৌকার ভোটে ভাগ বসাবে এ ৩ জন প্রার্থী। তবে এ ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান নৌকা প্রতীকের শাহাব উদ্দিন মাদবর ও আনারস প্রতীকের রাজু আহম্মেদের মধ্যে প্রচারণার মাঠে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকায় এখানে বিজয়ীর দিক থেকে এগিয়ে আছেন সাবেক চেয়ারম্যান ঘোড়া মার্কার প্রার্থী হেলাল উদ্দিন মাদবর।