সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৪৭ অপরাহ্ন
সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনের মধ্যেও সাভার বাসস্ট্যান্ডে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের উভয় পাশে ফুটপাত দখল করে পসরা সাজিয়ে সারিবদ্ধভাবে বসেছে হকাররা। মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি বা কোনো প্রকার সামাজিক দূরত্ব। সাভার বাসস্ট্যান্ড দেখে বুঝার কোন উপায় নেই দেশে লকডাউন চলছে। সেনাবাহিনী ও বিজিবি’র টহল মাঝে মধ্যে দেখা গেলেও লকডাউন বাস্তবায়নে তাদের কোন তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না।তবে মহাসড়কের কোথাও কোথাও চেকপোস্ট বসিয়ে তাদের গাড়ি তল্লাশি করতে দেখা গেছে। এছাড়া সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে প্রশাসনের তদারকিও তেমন চোখে পড়ছে না।
অপরদিকে খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, কঠোর লকডাউনের মধ্যেও ফুটপাতে ব্যবসা করতে প্রতিনিয়তই হকারদের দোকানভেদে ৮০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা দিতে হয় বিভিন্ন সংগঠনকে। কেউ কেউ প্রশাসনকে ম্যানেজ করার নামেও চাঁদা তুলছেন। এ নিয়ে হকারদের দু:খের শেষ নেই। তাদের বক্তব্য, চাঁদা না দিয়েতো ব্যবসা করার উপায় নেই। হকারদের বিক্রি না হলেও চাঁদার টাকা বন্ধ নেই।
জানা যায়, সাভার বাসস্ট্যান্ডের ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পূর্বপাশে সাভার নিউ মার্কেট থেকে রানা প্লাজা এবং পশ্চিম পাশে জাতীয় মাশরুম ইনিস্টিটিউটের সামনে থেকে মনসুর মাকের্ট পযর্ন্ত ফুটপাত অবৈধ দখলে করে চলছে হকারদের ব্যবসা। এমনকি রাস্তার উপরও দোকানপাট বসছে। ফুটপাত দিয়ে পথচারীরা হাটতে পারছেন না। পথচারীদের রাস্তা দিয়েও চলাফেরা কঠিন হয়ে পড়েছে। পোশাকের দোকান, জুতার দোকান, ফলের দোকান, শাকসবজি, মাছ-মাংস, মোবাইলের সিমের দোকান, চা-পান-সিগারেটের দোকান, বিভিন্ন খাবারের দোকানসহ এমন কোনো জিনিস নেই এখানে পাওয়া যায় না।
সরেজমিন দেখা গেছে, বাজার বাসস্ট্যান্ডের পুরো ফুটপাত দখল করে জামাকাপড়, জুতা, ঘড়ি, বেল্ট, জুয়েলারি, ফলসহ নানা ধরনের দোকান রয়েছে। ফুটপাতের সামান্য অংশও খালি নেই। ড্রেন নির্মাণ কাজ চলছে রাস্তার দুই পাশে। সেখানেও কাঠ-বাঁশ দিয়ে টং দোকান বসানো হয়েছে। যেন পুরো বাজার নেমে এসেছে সাভার বাসস্ট্যান্ডের ফুটপাতে। এছাড়াও দুটি ওভার ব্রিজের উপরেও দোকান খুলে বসেছেন অনেকেই।
দোকানদাররা জানান, এখানে ব্যবসা করার জন্য টাকা দিতে হয় বিভিন্ন নেতাদের। আবার অনেকে পুলিশকে টাকা দিতে হয় বলেও টাকা তুলেন হকারদের কাছ থেকে। ব্যবসা বুঝে চাঁদার টাকা নির্ধারণ করা হয়। প্রতিদিন ৮০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত নির্ধারণ করা আছে দোকান ভেদে। এই চাঁদা তোলার জন্য রয়েছে লাইনম্যান। টাকা না দিলেই ঝামেলা হয়। আবার টাকা দিলে সব ঠিক হয়ে যায়। কিন্তু যারা দোকান বসিয়েছেন, তারা নিজের পরিচয় দিয়ে কিছু বলতে চান না।