রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ০৩:৫৪ পূর্বাহ্ন
দৈনিকবিডিনিউজ৩৬০ ডেস্ক : মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার ১১ টি ইউনিয়ন পরিষদের সামনেই টাঙ্গানো হয়েছে কৃষি আবহাওয়া পূর্বাভাস বার্তার ডিসপ্লেবোর্ড। সেখানে নেই কোনো তথ্য, দীর্ঘদিন ধরে অকেজো হয়ে আছে বোর্ডটির রেইনগজ মেশিনসহ অন্যান্য সরঞ্জামাদি। উপজেলা কৃষি অফিসের তদারকির অভাবে স্থানীয় কৃষকরা কৃষি ভিত্তিক আবহাওয়ার বার্তা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ ওঠেছে। অপচয় হচ্ছে এ প্রকল্পে সরকারি বরাদ্দকৃত অর্থ।
সূত্রমতে, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে কৃষি আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি উন্নতকরণ প্রকল্পের আওতায় ডিসপ্লেবোর্ডটিতে রয়েছে আগে ও পরে ৩ দিনের আবহাওয়া ভিত্তিক কৃষি বার্তা। যা থেকে কৃষকরা সুফল পাওয়ার কথা।
সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ ঘুরে দেখা গেছে, আবহাওয়া পূর্বাভাস বার্তার ডিসপ্লেটি রয়েছে নামেমাত্র। সঠিক তদারকির অভাবে সরঞ্জামাদি অকেজো হয়ে পড়েছে। নেই যোগাযোগ করার জন্য বোর্ডটিতে দায়িত্বশীল কোনো কর্মকর্তার ফোন নাম্বার। স্থানীয় কৃষকরাও এর সুফল সম্পর্কে অবগত না।
উপজেলার চান্দহর ইউনিয়নের ওয়াইজনগর গ্রামের কৃষক তফছের আলী বলেন, ইউনিয়ন পরিষদে আবহাওয়া বার্তার বোর্ড সম্পর্কে আমরা কিছুই জানি না।
ধল্লা ইউনিয়নের মেদুলিয়া গ্রামের কৃষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমরা আবহাওয়া পূর্বাভাসের ব্যাপারে টেলিভিশনের উপর নির্ভর করি। কৃষি অফিস থেকে কোনো বার্তা আমরা পাইনা। বেশীর ভাগ ইউনিয়ন ঘুরেই আবহাওয়ার পূর্বাভাস সম্পর্কে কৃষকদের কাছ থেকে একই রকম উত্তর মিলেছে।
ধল্লা ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, বোর্ডটি শুধু আমার পরিষদের সামনে লাগানো হয়েছে মাত্র। এ সম্পর্কে আমি কিছুই বলতে পারব না।
চান্দহর ইউপি চেয়ারম্যান শওকত হোসেন বাদল বলেন, আবহাওয়ার পূর্বাভাস সংক্রান্ত ডিসপ্লেবোর্ড টাঙ্গানো আছে ঠিকই। কিন্তু এ সম্পর্কে আমিও জানি না আমার ইউনিয়নের কৃষকরাও জানেন না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা বলেন, আমাদের মনিটরিং করার কথা থাকলেও আমরা এ সম্পর্কে কিছুই জানি না। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কাছে এর সমস্ত তথ্যাদি রয়েছে।
সিংগাইর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ টিপু সুলতান স্বপন বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরে কৃষি আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি উন্নতিকরণ প্রকল্পের কোনো তথ্যই আমাদের অফিসে নেই। ঢাকা থেকে প্রকল্পের লোকজন মনিটরিং করে থাকেন।
এ ব্যাপারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মানিকগঞ্জের উপ-পরিচালক মো. শাহজাহান আলী বিশ্বাস বলেন, একটি প্রকল্প থেকে বোর্ডগুলো দেয়া হয়েছে। যেহেতু আমাদের লোকজন এগুলো ব্যবহার করছেন কোনো সমস্যা হলে আমরা প্রকল্পের লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করি। যাতে তারা এগুলো ঠিকঠাক করে দেন। অকার্যকর হলে প্রথমে কৃষি অফিসার বিষয়গুলো দেখবেন। প্রয়োজনে আমার নলেজে দিয়েও সহযোগিতা নিতে পারেন।