বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৩৩ পূর্বাহ্ন
দৈনিতকবিডিনিউজ৩৬০ ডেস্ক : এক যুগেরও বেশী সময় প্রবাসে কাটিয়ে সুবিধা করতে না পেরে অনেকটা নিঃস্ব হয়ে দেশে চলে আসেন উপজেলার জয়মন্টপ ইউনিয়নের চর নয়াডাঙ্গী গ্রামের মৃত সফিজুদ্দিন গোমস্তার পুত্র শাহিন আল মামুন (৩৮)। ২০১৭ সালে পৈতিৃক ও লীজ নেয়া জমিতে শুরু করেন পেঁপেসহ সবজি চাষ। উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণে নিজের তৈরি কেঁচো কম্পোষ্ট সার ব্যবহার করে পেঁপে , পটল, ধুন্দল ও চাল কুমড়া চাষে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন। প্রতি সপ্তাহে প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার বিভিন্ন প্রকার সবজি তিনি বিক্রি করছেন।
শুক্রবার (৪ জুন) সকালে সরেজমিনে দেখা যায় শাহিনের আবাদকৃত সবজি পার্শ্ববর্তী ক্ষেতের চেয়ে কিছুটা ভিন্ন। এ সময় তিনি জানান, প্রবাসে থাকাকালীন সময়ে ইউটিউব দেখে গরু পালন ও পেঁপে চাষে উদ্বুদ্ধ হই। ২০১৬ সালে দেশে আসার পর নিজের পরিকল্পনায় কৃষি কাজ করে ক্ষতির মুখে পড়ি। এরপর উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা এস এম মাসুদুজ্জামানের পরামর্শে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বিষমুক্ত নিরাপদ সবজি উৎপাদনে প্রশিক্ষণ নেই। তাদের দেয়া প্রদর্শনী প্লটের পাশাপাশি সাড়ে ৪ বিঘা পেঁপে,১ বিঘা ধুন্দল, ১ বিঘা পটল ও চাল কুমড়া আবাদ করি । প্রতিটি সবজির ফলনও হয়েছে ভালো। উৎপাদিত সবজি সপ্তাহে ২ দিন ঢাকাস্থ কৃষকের বাজারে বিক্রি করি। তিনি আরো বলেন, সবজি বিক্রির আয় থেকে ১২ লাখ টাকা ব্যয় করে টিনসেড পাকা ঘর দিয়ে মা, স্ত্রী ও এক পুত্র সন্তান নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভাল আছি। তার এ কৃষি প্রকল্পে ৩/৪ জন শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়েছে বলেও তিনি জানান।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ টিপু সুলতান সপন বলেন, নিরাপদ সবজি উৎপাদনে প্রশিক্ষণ ও প্রদর্শনী প্লট দিয়ে শাহিনকে সহায়তা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে তার উৎপাদিত সবজি ঢাকার সেচ ভবনের কৃষকের বাজারে বিক্রির ব্যবস্থা করে দেয়া হয়েছে। শাহিনের সাফল্য দেখে আশপাশের অনেক তরুন চাষী নিরাপদ সবজি উৎপাদনে আগ্রহী হচ্ছেন।