মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:০২ অপরাহ্ন
সংযোজক সড়ক না থাকায় কিশোরগঞ্জে যমুনেশ্বরী নদীর ওপর চার কোটি টাকা ব্যয়ে ব্রিজ স্থানীয়দের কোনো কাজেই আসছেনা। ছবি-সংগৃহীত
দৈনিকবিডিনিউজ৩৬০ ডেস্ক : বহু প্রতীক্ষার পর নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলি ইউনিয়নের যমুনেশ্বরী নদীর ওপর প্রায় চার কোটি টাকা ব্যয়ে ব্রিজ নির্মাণ করা হলেও সংযোগ সড়ক না থাকায় তা কোনো কাজে আসছেনা। তবে উপজেলা প্রকৌশলীর দাবি, আপাতত চলাচলের জন্য ব্রিজের দুই পাশে সংযোগ সড়কের কাজ চলছে। সড়ক পাকা করতে বরাদ্দ চেয়ে প্রস্তাব পাঠানো হবে।
উপজেলা প্রকৌশল দপ্তর সূত্রে জানা, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে বাহাগিলি ইউনিয়নের যমুনেশ্বরী নদীর ওপর ৬৯ মিটার আরসিসি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণের টেন্ডারের আহ্বান করে সরকার। ব্যয় ধরা হয় ৩ কোটি ১২ লাখ টাকা। কাজটি পায় গোপালগঞ্জ জেলার খন্দকার বির্ল্ডাস নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু ওই ঠিকাদার ব্রিজ নির্মাণের নীতিমালা অনুসরণ না করে কাজ শুরু করলে তদারকি কর্মকতা এবং সাব এসিসটেন্ট ইঞ্জিনিয়ার সাজেদুর রহমান কাজ বন্ধ করে দেন। পরে খন্দকার এন্টারপ্রাইজের চুক্তি বাতিল হয়। পুনরায় ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকা ব্যয় ধরে ব্রিজের টেন্ডার আহ্বান করা হয়। কাজ পায় নীলফামারীর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এস এম শফিকুল আলম। দ্বিতীয় বার টেন্ডারের কারণে সরকারের অতিরিক্ত ৭৭ লাখ টাকা ব্যয় হয়।
রবিবার সরেজমিনে, ব্রিজের নির্মাণ কাজ শেষ হলেও দুই পাশের সড়ক ভাঙাচোড়া। স্থানীয় বাসিন্দা জামিনুর রহমান, আবেদ আলী মশিয়ার রহমান জানান, ঠিকাদার যমুনেশ্বরী নদী থেকে বোমা মেশিন দিয়ে বালু তুলে ব্রিজের দুই পাশে বালু ভরাট করে সেই বালু দিয়ে সংযোগ সড়ক নির্মাণের কাজ করছেন। বালু দিয়ে তৈরি রাস্তা এলাকাবাসীর তেমন কাজে আসবেনা। মূলত কোটি টাকা ব্যয়ে ব্রিজটি অকার্যকর হয়েই পড়ে থাকবে।
এ ব্যাপারে ঠিকাদার এসএম শফিকুল আলমের সঙ্গে কথা বলতে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এমনকি ক্ষুদে বার্তা দিলেও তিনি সাড়া দেননি।
উপজেলা প্রকৌশলী মজিদুল ইসলামের বললে, নান্নুর বাজার পাকার মাথা থেকে ইসমাইল পাকার মাথা পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার সড়ক পাকা করণের জন্য বরাদ্দ চেয়ে প্রস্তাবনা পাঠানো হবে।
এসএস